ঝিনাইদহে ব্যাংকের দায়িত্বহীনতা, মাজিদুল এখন খাজিদুল!
ঝিনাইদহের একাধিক পাসপোর্ট গ্রহীতারা সোনালী ব্যাংকের খামখেয়ালিপনা ও দায়িত্বহীনতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নামের বানান ভুল থাকায় টাকা জমা দিয়েও তারা পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। চরম হয়রানির কারণে তারা হতাশ হচ্ছেন।
মাজিদুল ইসলাম নামে এক পাসপোর্ট গ্রাহক অভিযোগ করেন, ব্যাংক রসিদে তার নাম লেখা হয়েছে খাজিদুল। মাজিদুলের জায়গায় খাজিদুল লেখার কারণে তার নামের পুরো অর্থ পরিবর্তন হয়ে গেছে।
এমনিভাবে মুক্তারুজ্জামানের পরিবর্তে মুক্তার হোসেন, আল আমিনের জায়গায় আল মামুন, আবু সালেকের স্থলে আবু মালেক, মো. আসিফ আলীর স্থলে মো. আসিফ ও মীর রায়াটের জায়গায় মীর বায়াট লিখে রসিদ পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, পাসপোর্টের জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার পর গ্রহীতাকে একটি রসিদ প্রদান করা হয়। এরপর ব্যাংক থেকে একটি স্টেটমেন্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হয়।
ব্যাংক থেকে পাঠানো স্টেটমেন্টে নামের বানান ভুলভাবে লেখা হচ্ছে। ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের প্রায় ১৯ জনের নামের বানান ভুল হয়েছে। এই তালিকা সংশোধনের জন্য ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংককে জরুরিভাবে দুই দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা করছেন না। ফলে পাসপোর্ট গ্রহীতারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দিনের পর দিন তারা অফিসে ঘুরছেন।
অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংকের ওই বুথে দুইজন মহিলা ও একজন পুরুষ কাজ করেন। তারা সতর্কতার সঙ্গে কাজ না করার ফলে এই অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকের এজিএম আব্দুল গাফ্ফার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত। নামের বানান ভুল সংশোধনের জন্য ২/১ দিনের মধ্যে একজন কর্মকর্তাকে ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাঠানো হবে।