ঝিনাইদহে সর্দ্দারসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃ জেলা ডাকাত সর্দ্দারসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। এসময় তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ডাকাতি হওয়া লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক সদর থানার ওসি অপারেশন আবুল খায়ের শেখ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সর্দ্দারসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ডাকাতরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামনগর গ্রামে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে প্রবাসি সাইদ হোসেনের বাড়িতে একদল ডাকাত ডাকাতি সংগঠিত করে। এসময় ডাকাতদল বাড়ির সকল সদস্যকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে ৭ টি মোবাইল ফোন, স্বর্ণের তৈরী হাতের বালা, গলার চেইন, কানের দুল, আংটিসহ নগদ কিছু টাকা লুন্ঠন করে। এ ঘটনায় পরদিন ৫ ডিসেম্বর সাইদ হোসেনের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদি হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি মামলা করেন। এর পর থেকে পুলিশ ডাকাত ধরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। প্রথমেই ডাকাত সর্দ্দার কোরবান আলীকে পুলিশ আটক করে।
তারস্বীকারোক্তি মোতাবেক পর্যায়ক্রমে ৬ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় তারা। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লুন্ঠিত হওয়া সকল মালামাল উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ডাকাত জেলার কোটচাদপুর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ফেলু মন্ডলের জামাতা সজিব (৩০), হরিনাকুন্ডু উপজেলার পদ্মনগর গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে বাবুল হোসেন (২৩), সদর উপজেলার দক্ষিণ রামনগর গ্রামের আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে লিটন (৩৮), সদর উপজেলার বেড়াশুলা গ্রামের সায়েম মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩০), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মৃত রমজান মালিথার ছেলে তোরাপ (৫২) এবং সদর উপজেলার মহামায়া গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে ডাকাত সর্দ্দার কোরবান আলী (৪০)। ওসি আরও জানান, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ডাকাত সর্দ্দার কোরবান আলী ৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়াও ডাকাতদল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় রাজমিস্ত্রীর ছদ্মবেশে মানুষের বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে খোজখবর নিয়ে রাতে ডাকাতি করে আসছিল।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, থানা এলাকায় কেউ কোন প্রকার অপরাধ করে পার পাবে না। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।