ডাকবাংলার চোরাই সাইকেল কিনে জেলা হাজতে ক্রেতা
মনজুর আলম, স্টাফ রিপোর্টার-ঝিনাইদহে চোখ:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজার থেকে চুরি হওয়া বাইসাইকেল কিনে বিপাকে পড়েছে একই উপজেলার বাজার গোপালপুরের মহাতাপ উদ্দিন নামের একক্রেতা। সিসিটিভির ভিডিও দেখে ডাকবাংলা ক্যাম্প পুলিশ রাসেল নামের এক চোরকে আটক করার পর সাইকেল উদ্ধারের জন্য বাজার গোপালপুর নিয়ে ক্রেতা মহাতাপ উদ্দিনকে আটক করে। পরদিন বয়সের বিচেনায় চোরকে মুচলেকায় চেড়ে দেয়া হলেও সাইকেল ক্রেতা মহাতাপ উদ্দিনকে জেলহাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ। চোরকে মুচলেকায় ছেড়ে দিয়ে ক্রেতাকে জেলা হাজতে পাঠানো বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ডাকবাংলা দোকান মালিক সমিতির সেক্রেটারি রাজিব শেখ বলেন, সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দুইজন লোক সাইকেলের পাশে ঘোরাফেরা করছে। এরপর একজন সাইকেলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার পর অপরজন সাইকেলটি নিয়ে চলে যাচ্ছে। পুলিশ বাইসাইকেল উদ্ধার ও দুইজনকে আটকের পর বিষয়টি উভয়পক্ষ নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেও তা হয়নি।
বাজার গোপালপুর দোকান মালিক সমিতির সভাপ্রতি মো. মনজুর আলম বলেন, বাজারে দীর্ঘদিন পুরাতন বাইসাইকেলের হাট বসছে। এখানে অনেকে সমস্যা পড়েও অনেক সময় সাইকেল বিক্রি করতে আসেন। যা স্থানীয় অনেকেই কিনে থাকেন। কিন্তু বাইসাইকেলের বিক্রেতার নিকট এমন কোন কাগজপত্র নেই, যা দেখে বোঝা যাবে এটা বৈধ না অবৈধ, নাকি এটা চুরি করে এনে বিক্রি করছে।
বাইসাইকেল উদ্ধারের প্রত্যক্ষদর্শী ও মহাতাপের পরিবারের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার রাতে বাজারে মহাতাপ উদ্দিনের দোকানে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মাখন বিশ^াস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একটি গাড়িতে আসেন এবং গাড়ি মধ্যে একজন বসা। তারা বাইসাইকেল কেনা সম্পর্কে জানতে চান এবং তার বাড়িতে যান। সে সময় একটি বাইসাইকেল নিয়ে যান। তবে সেটা চুরি হয়ে যাওয়া সাইকেল ছিলনা বলে সাইকেল মালিক জানান বলে জানাই তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ডাকবাংলা ক্যাম্প পুলিশের এএসআই মাখন বিশ^াস বলেন, ডাকবাংলা বাজার থেকে একটি বাইসাইকেল চুরি হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনান্ত কওে আটকের চেষ্টা করি। অবশেসে একজনকে আটকের পর বাইসাইকেলটি উদ্ধারও ্েক্রতাকে আটক কওে থানাতে পেরন করি। এ ঘটনা মামলা হয়েছে।#