ঝিনাইদহে অর্ধেকের বেশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদমিনার নেই
মনজুর আলম, স্টাফ রিপোর্টর-ঝিনাইদহের চোখ
ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান ও আন্তর্জাতীক মাতৃ ভাষা দিবসে বিন¤্রশ্রদ্ধার জন্য ঝিনাইদহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার নিশ্চিৎ করা সম্ভব হয়নি। প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রæয়ারি আসলেই নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিনটি পালিত হয়। কিন্ত কোন কোন প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় আজও শহীদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাজ্ঞলি নিবেদন করতে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকলেও আছে লাখ লাখ টাকা ভবন ও আসবাবপত্র। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানে দেয়ালে শহীদ মিনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেওয়ালে আল্পনা করে রেখেছে।
শিক্ষা অফিস জানান, জেলার প্রাইমারী স্কুল ৯০৭টি, হাইস্কুল ২৯৭টি ও মাদ্রাসা ১১১টি। এসকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০৬ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। তবে ১১১টি মাদ্রাসার মধ্যে মাত্র ১২ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে।
জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, বছর দুয়েক আগে শহীদ মিনার নেই, এসকল প্রতিষ্ঠানের তালিকা আমরা দিয়ে ছিলাম। সে সময় অতি গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়েছিল। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান এবং কোন কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সভাপ্রতিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য বিশেষ ভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু পরে তালিকার বিষয়ে কোন তথ্য আমাদেরকে জানানো হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যেখানে একই সাথে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ রয়েছে, সেখানে সিন্ধান্তনুযায়ি একটি শহীদ মিনার রয়েছে। যে কারনে শহীদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে সমস্যা থাকার কথা নয়। তবে এখনও কয়েটি প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার থাকা প্রয়োজন।
জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, এখানে আসার পর শহীদ মিনার নির্মানের ব্যাপারে কোন আলোচনা বা তথ্য পাইনি। তবে আমি দেখেছি একাধিক প্রতিষ্ঠান (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্কুল এন্ড কলেজ, মাদ্রাসা) একই স্খানে, সেখানে একটি করে শহীদ মিনার আছে। শহীদ মিনার ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো জন্য নির্মান করা হয়। সেখানে সারা বছরই যেন পরিষ্কার ও মার্জিত ভাবে থাকে। সে বিষয়ে আমি শিক্ষকদের কঠোর ও বিশেষ ভাবে বলেছি। তবে পর্যায়ক্রমে সকল প্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার নির্মান হবে বলে জানান তিনি।#