ঝিনাইদহে মাইক্রোবাস যোগে যাত্রী পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়\মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহসহ সারা দেশে দুরপাল্লার গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে আন্ত:জেলা বাস চলাচল। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবহণ মালিকরা।
সরেজমিনে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জননী পরিবহণের বাস কাউন্টার মাইক্রোবাসের কাউন্টার বানানো হয়েছে। ব্যাগ নিয়ে কেউ গেলেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে কোথায় যাবেন। ঢাকা গেলে উঠে পড়–ন মাইক্রোবাসে। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি মাইক্রোবাস সেখানে রাখা হচ্ছে। ভাড়া দেওয়া হচ্ছে দ্বিগুনেরও বেশি।
দেখা যায়, মাইক্রোবাসের মধ্যে গাদা-গাদি করে যাত্রী উঠানো হয়েছে। যেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ৩ টি ছিটের স্থানে ৪ জন বসিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। এতে থেকেই যাচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। যাত্রী বেশে টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়। জননী পরিবহনের কাউন্টার থেকে ঢাকা হচ্ছে। ভাড়া কত জিজ্ঞাসা করতেই বলছেন, ১ হাজার থেকে ১৫’শ টাকা দিতে হবে। গাড়ী বুঝে ভাড়া হাকানো হচ্ছে। বাস বন্ধ থাকলেও মাইক্রোবাস চালকদের যেন পোয়াবারো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস মালিক বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকানে সরকার দুরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে। কিন্তু এখানে কয়েকজন কাউন্টার মালিক আর মাইক্রোবাসের মালিক ও চালকরা আইন অমান্য করে যাত্রী পাঠাচ্ছেন। একসাথে যাওয়ার কারণে তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থেকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, মাইক্রোবাস পাঠানো হলে বাস গেলে দোষ কিসে। বাসে তো অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাওয়া হবে। আর মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এজন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।