করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঝিনাইদহে বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচী‘র (এইচপিএনএসপি) আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর‘র লাইফস্টাইল, হেলথ এন্ড প্রমোশন কার্যক্রমের আওতায় স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা প্যাকেজ কার্যক্রমের আওতায় দেশব্যাপী করোনা মহামারী বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে জনসচেতনতামূলক লোকগান, নাটিকা এবং স্বাস্থ্যবিধি সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রদর্শনী ভিত্তিক প্রচরণা কার্যক্রমটি দেশব্যাপী পরিচালিত হতে চলেছে। দেশের সকল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের এই মহামারীর সংক্রমণ থেকে নিজের সুরক্ষা সহ পরিবার, স্বজন তথা সকলের জীবন রক্ষার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।
২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বর্তমানে সরকার দেশের মানুষকে এই মহামারীর সংক্রমণ থেকে রক্ষার্থে স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবার জন্য লক ডাউন ঘোষণা সহ বিভিন্ন সচেতনামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল।
এই মহামারীর প্রতিরোধে মাস্ক পরা, কিছুক্ষণ পর পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, ভিড় এড়িয়ে চলা, নূন্যতম তিন ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং করোনা শনাক্ত রোগীদের কোয়ারেন্টাইন সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জনসচেতনতামূলক নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তারই অংশ হিসাবে ‘মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধির উপদেশ তবেই করোনামুক্ত হবে বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশের ৬৪ জেলার ১২৮ টি উপজেলার সাধারণ মানুষকে সচেতনকরার লক্ষ্যে লোকগান, নাটিকা, বিজ্ঞাপন ও ক্যারাভান প্রদর্শনী সহ বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতাই ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্ত¡রসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবির প্রমুখ।
কোভিড- ১৯ ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী যে ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে, তার প্রতিরোধ আমাদের সচেতন থাক এবং ভ্যানসিন গ্রহণ করা এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানবো এবং সকলকে মানতে সচেতন করবো, তবেই বাংলাদেশ সহ পুরোবিশ্ব করোনা মহামারীর ভয়াবহ প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।