কৃষি পুরস্কার পেলো ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটসহ ২৭ ব্যক্তি ও ৫ প্রতিষ্ঠান
ঝিনাইদহের চোখ-
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪ পেয়েছেন ২৭ ব্যক্তি ও ৫ প্রতিষ্ঠান।
রোববার (২৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এছাড়া, এ অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর কৃষিবিষয়ক ১০০ অমরবাণীর সংকলন ‘বাণী চিরসবুজ’ ও স্মারকগ্রন্থ ‘চিরঞ্জীব’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতি বছর স্বর্ণ, রৌপ্য, ব্রোঞ্জ এ তিনটি বিভাগে মোট ৩২টি পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বর্ণপদক ৫টি, রৌপ্যপদক ৯টি ও ব্রোঞ্জপদক ১৮টি। কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ, সমবায় উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, মহিলাদের অবদান, বাণিজ্যিক খামার, বনায়ন, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মাছ চাষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪ এ স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীতরা হলেন: কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণে ঢাকার এম আনিস উদ-দৌলা ও উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর, কৃষিতে নারী হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের মায়া রাণী বাউল এবং বাণিজ্যিক খামারি নারায়ণগঞ্জের এমএম শাহজাহান সিরাজ।
রৌপ্য পদক পেয়েছেন ৯ জন: উদ্যান বিশেষজ্ঞ খোন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার মো. বকুল হোসেন, বারির কর্মকর্তা ড. মো. ওমর আলী, দিনাজপুরের মো. মাহমুদুল হাসান, নাটোরের রুবিনা খাতুন, রংপুরের বৈদ্যনাথ বর্মণ, বারির মসলা গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা ড.কে এম খালেকুজ্জামান, খুলনার জীবানন্দ রায় এবং রংপুরের মর্জিনা বেগম।
এছাড়া, ব্রোঞ্জ পদকের জন্য কুমিল্লার মনজুর হোসেন, সিলেটের মো. জাবের হোসেন, গাজীপুরের মো. রমজান আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. আবু নাছের, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সিরাজগঞ্জের মাস্টার নার্সারি অ্যান্ড এ্যাফরেস্টশন, নোয়াখালীর মো. সাহেদুর রহমান, বগুড়ার মো. হামিদুল ইসলাম, পাবনার মো. আনিছুর রহমান, ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষ, ফরিদপুরের বক্তার হোসেন খান, ময়মনসিংহের নিতাই চন্দ্র রায়, উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের মনোয়ারা বেগম, ঢাকার আশুলিয়ার রাজিয়া সুলতানা এবং সাতক্ষীরার পাকুড়িয়া সিআইজি (ফসল) কৃষি সমবায় সমিতি-এই ১৮ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে।
পুরস্কার বিজয়ীদেরকে সনদপত্র, সংশ্লিষ্ট পদক ও নগদ অর্থ প্রদান করা হবে। স্বর্ণপদক প্রাপ্তদেরকে ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপদক প্রাপ্তদেরকে ৫০ হাজার টাকা এবং ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তদেরকে ২৫ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়।