ঝিনাইদহে পাট ঘরে তুলতে ব্যস্ত চাষি/দাম কমে যাওয়ায় খুষি নয় চাষি
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ জেলায় পুরাদমে পাটা কাটা চলছে। চাষি ভাল ফলন আশা করছে এবার। প্রতি মন পাট ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত দরে কেনাবেচা হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এ দামে খুশি নয় চাষি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা অন্যতম পাট উৎপাদনকারি এলাকা। চলতি মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলায় ২২ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলার পাট চাষী ইসলাম মন্ডল জানান, মৌসুমের শুরুতে খরার কারনে পাট চাষ ব্যাহত হয়। সেচ দিয়ে চাষ করতে হয়। এতে খরচ বেশি হয়।
কোটচাঁদপুরের পাট চাষী আব্দুস সোবাহান জানান, সঠিক সময়ে এবার বৃষ্টি হয়নি। টরে বৃষ্টি হলে পাটের অবস্থা ভাল ছিল। কাটা শুরু হলে বৃষ্টির অভাবে খাল বিলে পানি জমে না। পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ে চাষি। পাট কেটে দূরবর্তী নদী বা পুকুরে নিয়ে জাগ দিতে পরিবহন খরচ বেশি পড়ে।
জেলার পাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভাল পাট হয়েছে শৈলকুপা উপজেলাতে। মাস খানেক আগে নতুন পাট উঠার পর প্রতি মন ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা মন দরে কেনাবেচা হয়। বর্তমানে হাট বাজারগুলোতে পাটের আমদানি বেড়েছে। দামও কমে গেছে। প্রতি মন ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে কেনাবেচা চলছে। লক ডাউনের কারনে বাজারে ক্রেতা কম। মিল গুলো এখনো পাট কেনা শুরু করেনি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পাট কিনে মজুত করছে।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আকরাম হোসেন জানান, পাটের ফলন ভাল হচ্ছে। লকডউনের কারনে কেনাবেচা কম । দামও একটু কমে গেছে।