ঝিনাইদহে শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা
ঝিনাইদহের চোখ-
আর ক’দিন বাদেই মর্ত্যে আসছেন দেবী দুর্গা। তাইতো প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের প্রতিমা শিল্পীরা। লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে হঠাৎ করেই বেড়েছে কাজের চাপ। তাই রাত-দিন পরিশ্রম করে নিপুণ হাতে তৈরী করছেন দেবী দুর্গাকে। করোনা পরিস্থিতিতে যেন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত না হয় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরাও।
অরবিন্দ পাল। গত ৩০ বছরের উপর তিনি প্রতিমা তৈরীর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে আসছেন। তার বাবার হাত ধরেই এ পেশায় আসা। তিনি এবার ৫টি কাজ করছেন। এক একটি কাজ করে নিচ্ছেন ৫০হাজার টাকা।
সুজন কুমার পাল। ছোটবেলা থেকেই দাদা-বাবাদের সাথে কাজের হাতেখড়ি। এবার হাতে নিয়েছেন ৬টি কাজ। খুবই ব্যস্ত। তার দলে লোকসংখ্যা বাড়াতে হয়েছে। সবজিনিষের দাম উর্দ্ধগতি। তারপরও সেরা কাজ দিতে পারবেন বলে আশা করেন।
সরেজমিনে ঝিনাইদহের মন্দির ঘুরে দেখা যায়, শিল্পীর নিপুণ হাতে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। নিখুঁতভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে কারিগররা ফুটিয়ে তুলছেন দূর্গা দেবীকে। পাশাপাশি চলছে ল²ী, স্বরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের প্রতিমা তৈরীর কাজ। কোন মন্ডপে চলছে কাঠামো তৈরী আবার কোথায় করা হচ্ছে মাটির কাজ। সনাতন ধর্ম্বাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব ঘনিয়ে আসায় ঝিনাইদহে যেন দম ফেলার ফুরসরত নেই প্রতিমা তৈরীর কারিগরদের। লকডাউন শিথিল হওয়ায় এবার কাজের চাপ বেশি। তাইতো ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে তাদের। তবুও খুশি তারা। নতুনত্ব কিছু দিতে না পারলেও সাধ্যমত চেষ্টা করছেন দেবী দুর্গাকে সাজাতে এমনটিই জানালেন কারিগররা। আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাকালে বেড়েছে সবপ্রকার উপকরণের দাম। তাইতো এবার খরচ একটু বেশি।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ৪৩২ টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজা। আগামী ১১ অক্টোর ষষ্টীপুজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার গাঙ্গুলী বলেন, মন্দিরে স্বাস্থ্যবিধি দুর্গোৎসব পালনে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, এদিকে দুর্গাপূজায় পূজায় সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন পুলিশ কর্মকর্তা।