আজ জেল হত্যা দিবস, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন
ঝিনাইদহের চোখ-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার আড়াই মাস কেবল পার হয়েছে। গোটা দেশের পরিস্থিতি তখনো থমথমে। এর মধ্যেই খুনিদের রক্তে আরও একবার রঞ্জিত হয় বাংলাদেশ। কারাবন্দি চার জাতীয় নেতাকে হত্যার মাধ্যমে আরও এক কলঙ্কিত দিনের সাক্ষী হলো জাতি।
আজ বুধবার, ৩ নভেম্বর। ৪৬ বছর আগের কালো ছায়াঘেরা সেই দিনে জাতি হারিয়েছিল চার সোনালি সন্তানকে। চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী- ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্মম হত্যার শিকার হন তারা।
গুলির পরও বেঁচে ছিলেন জাতীয় চার নেতার একজন, এম মনসুর আলী। কিন্তু গোঙানির শব্দ শুনে কারারক্ষী মোতালেব দৌড়ে গিয়ে জেলগেটে ঘাতকদের খবর দেয়। আবার ফিরে এসে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জাতীয় চার নেতার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাকের নির্দেশে ফজরের আগে ১০ মিনিটেই কিলিং মিশন শেষ করে ঘাতকরা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর খুনিরা রাষ্ট্রপতির আসনে বসায় খন্দকার মোশতাককে। সেই সাথে তার মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চাপ দেয়া হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গ্রেফতার হন এই জাতীয় চার নেতা। আড়াই মাস পর সুরক্ষিত জেলখানায় হত্যা করা হয় তাদের।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চার এই জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করে আসছে জাতি। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদা ও বেদনার সঙ্গে পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।