ঝিনাইদহে ১৬০০ কৃষকের বিরুদ্ধে ঋন খেলাপী মামলা
ফসল ফলনের অভাবের কারণে ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না কৃষকরা। এজন্য দরিদ্র কৃষকদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের সার্টিফিকেট আদালতগুলোতে ১৬শ’ মামলা করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। ঋণ খেলাপির এ সব মামলায় অনেক কৃষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
ঋণ খেলাপি কৃষকরা বলছেন, ফসল আবাদের জন্য ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সুদের কারণে তা বেড়ে কয়েক গুণ হয়েছে। ওই টাকা পরিশোষ করতে না পারায় এখন তাদের বিরুদ্ধে ৭০ হাজার টাকার মামলা দেয়া হয়েছে।
তারা জানান, এই পরিমাণ টাকা পরিশোধ করার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। ঋণের সুদ মুওকুফ করা হলে তারা টাকা শোধ করতে পারবেন। এছাড়া তাদের পক্ষে এত টাকা শোধ করা সম্ভব হবে না।
তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, খেলাপি ঋণ পরিশোধে মানসিক চাপ তৈরি করতে মামলা করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঝিনাইদহ কাষ্টসাগরা বাজার শাখার ম্যানেজার খান মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘মানসিক চাপ তৈরি করার এ কৌশলের কারণে কৃষকরা কোর্টে আংশিক টাকা পরিশোধ করেছে। ব্যাংকেও এসেও অনেকে দেনা পরিশোধ করছে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, ‘কৃষকরা তাদের সমস্যার কথা জানিয়ে সম্মিলিতভাবে আবেদন করলে তা সুপারিশসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পেলে তাদের সুদ মওকুফের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জানা গেছে, ঝিনাইদহের শত শত দরিদ্র চাষিরা প্রতিবছরই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফসল আবাদ করে থাকেন। এই বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণে ফসল নষ্ট হওয়ায় সেই ঋণ সময় মতো পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে ঋণের সঙ্গে সুদের টাকা যুক্ত হয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পরে তা আর পরিশোধ করতে না পারায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
সময় সংবাদ