কালীগঞ্জে পিকআপ ছিনতাইয়ের চেষ্টা/ বাঁধা দিলে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম
মোঃ হাবিব ওসমান, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুজন শেখ (২০) নামে এক পিকআপ চালককে ভাড়ায় যাওয়ার কথা বলে মোবাইলে ডেকে নিয়ে পিকআপ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে ছিনতাইকারী। এ সময় চালক বাঁধা দিলে লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে চালকের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মারাত্বক জখম করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) কালীগঞ্জ উপজেলা এবং যশোর সদর উপজেলার মধ্যবর্তি মান্দারতলা নামক স্থানে। আহত পিকআপ চালক কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া (নদীপাড়া) গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় পিকআপ চালকের মা নাজমা খাতুন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত পিকআপ চালক বড় ভাই সবুজ শেখ জানায়, আমার ছোট ভাই সুজন পিকআপ ভ্যান চালায়। গত সোমবার দুপুর ২ টা ১৭ মিনিটের সময় সুজনের ০১৮৯১৮৭৯২৪৫ মোবাইল নম্বরে অপরিচিত ০১৯২৩০৬৯৪২৫ নম্বর থেকে ফোন করে সাগর নামে পরিচয় দিয়ে পিকআপটি ভাড়া নেওয়ার কথা জানায়। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলে আমরা মান্দারতলা থেকে বাসার মালামাল নিয়ে ঝিনাইদহ যাবো। তারা পিকআপ নিয়ে সন্ধ্যার আগ দিয়ে মান্দারতলায় যাওয়ার জন্য বলে।
এদিন বিকেলে সুজন পিকআপ নিয়ে মান্দারতলার উদেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়। সন্ধ্যার আগে মান্দারতলায় পৌছে সুজন তাদের মোবাইলে ফোন দিলে তারা জানায় আমরা একটু পরে আসছি। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের সময় ২টি মটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাতনামা ৪জন এসে চালক সুজনকে কথা বলার জন্য গাড়ি থেকে নামতে বলে। গাড়ি থেকে নামলে তারা সুজনকে গোপন কথা বলার জন্য আড়ালে নিয়ে যায়। এরপর তারা পিকআপ ভ্যানের চাবি চায়। সুজন কৌশলে চাবি দূরে ছুড়ে ফেলে। তখন ছিনতাইকারীরা লোহার রড় এবং কাঠের বাটাম দিয়ে সুজনের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারাত্বক জখম করে।
এসময় পিকআপের পাশে থাকা ২জন হেলপার রাকিব এবং সবুজ চিৎকার দিলে স্থানীরা সুজনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
কালীগঞ্জ থানার (ওসি) তদন্ত নজরুল ইসলাম জানান, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কিন্তু ঘটনাস্থল কালীগঞ্জ থানা এলাকার নয়, এটা যশোর কোতয়ালী থানার আওতায় হওয়ায় আমরা তাদেরকে যশোর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।