ঝিনাইদহে ব্যতিক্রমী ফল অ্যাভোকাডো চাষে সফলতা
মিজানুর রহমান, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহের চোখ-
বিদেশি ফল অ্যাভোকাডোর চাষ হচ্ছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায়। তবে ফলন নিয়ে সংশয় কেটে গেলেও অ্যাভোকাডোর বাজার নিয়ে সংশয় কাটেনি এখনও। বাজারজাত করা গেলে অ্যাভোকাডো চাষ লাভজনক হবে বলে জানান চাষীরা।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের কৃষি উদ্যেক্তা হারুন অর রশিদ মুসা ও একই উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফারুক হোসেন প্রায় ৫ বিঘা জমিতে অ্যাভোকাডো ফলের চাষ করেছেন। এ বছর তাদের গাছে যথেষ্ঠ ফল এসেছে। উভয়ের গাছের বয়স ৩ বছর। গত বছর মুসার গাছে প্রচুর ফুল আসলেও ফল ঝরে যাওয়ায় শঙ্কিত ছিলেন তারা। কিন্তু এবছর ফল ঝরে পড়ার হার গত বছরের তুলনায় কম । তাই এখনও গাছে কয়েক মন ফল আছে। ফারুকের বাগানেও ২ মন ফল হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। মুসার ৪ বিঘা জমিতে প্রায় ১২০টি গাছ ও ফারুক হোসেনের এক বিঘা জমিতে ১৪টি গাছ আছে। অ্যাভোকাডো ফল সাধারণত মধ্য জুলাইয়ে হারভেস্টের উপযোগি হয় ।
গাছের পরিচর্যার ব্যাপারে তারা জানান, এ গাছ সাথি ফসল হিসেবে চাষ করতে হবে। একটু ছায়া স্থান হলে ভালো হয়। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করাই ভালো। জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। ফুল ফল ঝরে পড়া রোধে কিটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা জানান, তাদের বাগানের ভিডিও দেখে অনেকে যোগাযোগ করেছেন। ন্যায্য দামে ফল বিক্রি করতে পারলে এ ফলের চাষ লাভ জনক হবে বলে তারা জানান।
এ ফলের চাষ নিয়ে জানতে চাইলে, কোটচাঁদপুর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ মহাসিন আলী জানান, তার উপজেলায় একজন কৃষি উদ্যেক্তা অ্যাভোকাডো ফলের চাষ শুরু করেছেন। কৃষি অফিস উদ্যেক্তা মুসার বাগান ভিজিট করে তাকে সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলটি ঔষধি গুনে ভরপুর হওয়ায় এ ফলের চাহিদা দিন দিন বাড়তে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন।