হাদিসে বর্ণিত স্বাস্থ্য রক্ষার চার নীতি
ঝিনাইদহের চোখঃ
হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত,
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : غطوا الإناء ، وأوكوا السقاء ، وأغلقوا الباب ، وأطفِؤوا السراج . رواه مسلم
‘তােমরা বরতন ঢেকে রাখবে, পানির কলসের মুখ বন্ধ করে রাখবে, দরজার অর্গল বন্ধ করে রাখবে এবং (ঘুমানাের পূর্বে) চেরাগ নিভিয়ে দেবে।” – মুসলিম শরীফ
এটা একটা সুদীর্ঘ হাদীস। আমরা এখানে কেবল হাদীসের প্রথম কিছু অংশ উদ্ধৃত করলাম। এতে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বাস্থ্য রক্ষা বিষয়ক চারটি নীতি বর্ণনা করেছেন। হাদীসের পরবর্তী অংশে তিনি এ চারটি নীতির বিভিন্ন কারণ ও দর্শন বর্ণনা করেছেন।
প্রথম নীতি: বাসন-পত্র ঢেকে রাখা। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তােমরা যদি বাসনপত্র ঢেকে রাখ তাহলে শয়তানের পক্ষে সেগুলি খােলার সুযােগ হবে না। তিনি বলেছেন, যদি বাসন পত্র ঢেকে রাখার জন্য আর কিছু না পাও তাহলে বাসনপত্রের মুখে অন্তত কোন লাকড়ি বা খড়ির টুকরাই রেখে দিও। কেননা খােলা পাত্রে যে কোন পােকামাকড় ইত্যাদি ক্ষতিকর জিনিস পতিত হওয়ার আশংকা থাকে।
দ্বিতীয় নীতি : কলস বা পানীয় পাত্রের মুখ বন্ধ রাখা। হুজুর সা. ইরশাদ করেছেন , তােমার যদি কলসের মুখ বন্ধ রাখার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর তাহলে শয়তান কলসের মুখ খােলার (এবং পানি নষ্ট করার সুযােগ পাবে না।
তৃতীয় নীতি: ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখা। এভাবে তােমরা শয়তানের ঘরের ভেতর প্রবেশ করার সুযােগ নষ্ট করতে পারবে। নতুবা শয়তান তােমাদের গাফলতির সুযােগে ঘরে প্রবেশ করে তােমাদের অনেক অনিষ্ট করে ফেলতে পারে।
চতুর্থ নীতি: বাতি নিভিয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তােমরা যদি বাতি জ্বালিয়ে রেখেই ঘুমিয়ে পড়, তাহলে তােমাদের ঘুমন্ত অবস্থায় ইদুর বাতির আগুন থেকে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে।
চিন্তা করে দেখুন, এই চারটি নীতি মানব জীবনের জন্য কত জরুরী! আল্লাহ আমাদের সুন্নতি নববী অনুসরণ ক েজীবন গড়ার তাওফিক দিন। আমিন।
সূত্র: তিব্বে নববী (বই)