ঝিনাইদহে প্রচন্ড খরা ।। পানির অভাবে ক্ষেত ফেঁটে চৌচির
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
বর্ষা শেষ হয়ে চলছে শরৎকাল। বৃষ্টির দেখা নেই। তাই বৃষ্টি নির্ভরশীল আবাদ আমন মৌসুম আজ হুমকির মুখে। ১৫ মে হতে ১৫ জুন পর্যন্ত আমন ধানের চারা জমিতে রোপণ করার উপযুক্ত সময়। এসময় পার হলেও এখনো চারা রোপণ শেষ হয়নি।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর জানান, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমনের রক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে রোপণ শেষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১ হাজার ৫৯৫ হেক্টর কম। তবে এখনও যে সকল জমিতে পাট রয়েছে, সে সকল জমিতে ধান রোপণ করা যেতে পারে।
কথা বলা হয় সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর গ্রামের কৃষক মজনুর রহমানের সাথে, তিনি বলেন – ৯ বিঘা জমি ধানের আবাদ করেছেন। স্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে লাগানো হয়েছে। বৃষ্টি দেখা নেই। আবারও সেচের জন্য স্যালো চালানো হচ্ছে। আবাদের সেচ খরচ বাড়ছে। তাছাড়া বৃষ্টি নির্ভরশীর ধানে পানি দিয়ে ধান ভালো করা যায় না। সাথে আগাছা দমনে বিষ কাজ হচ্ছে না। জমি পরিষ্কার করতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুর করিম বলেন, চলতি মৌসুমে ধানের চারা রোপণ শেষ পর্যায়ে। যে সকল জমিতে পাট রয়েছে, সেখানে ধানের আবাদ হবে। পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সমাধানের জন্য বৈদ্যুতিক মোটর, স্যালো চালিয়ে ক্ষেতে সেচের ব্যবস্থা করছেন চাষিরা। তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে নানা বিষয় পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।