ঝিনাইদহে অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে শ্রাবণে স্বাভাবিক বৃষ্টির চেয়ে এবার অনেকটা কমই বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফসলের মাঠ সহ প্রচন্ড খরায় পশু- পাখি সহ মানুষকূলের জীবন যাপন নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রীতিমতো খরা দেখা দিয়েছিল।
তবে ভাদ্রের শেষ দিকে এসে সেই রূপ খানিকটা বদলেছে, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঝিনাইদহেও মঙ্গলবার মধ্যে রাত থেকে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টি যেমন গরমে স্বস্তি এনেছে, তেমন বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে জন-দূর্ভোগ। অতিপ্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের পথঘাটে দেখা যায়নি। শ্রমিক শ্রেনীর লোকেদের কিছুটা সমস্যা দেখা দিলোও কৃষক শ্রেনীর মধ্যে অনেকটা স্বস্থি দেখা গেছে।
সদর উপজেলার ডাকবাংলা এলাকার ভ্যান চালক সজিবের জানান – বৃষ্টির কারণে লোকজন খুব একটা বাইরে আসেনি। ভাড়াও কম। তারপরো বৃষ্টি খুব দরকার ছিল।
একই উপজেলার বাজার গোপালপুরের বাবুল মিয়া বলেন, ধানের চারা জমিতে রোপণ করার পারে আর বৃষ্টি হয়নি। সেচের কোনো ব্যাবস্থা নেই। জমি ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে জমির ধানে মনে হচ্ছে প্রান ফিরে পেয়েছেন। তবে সার্বিকভাবে বৃষ্টিতে উপকারই হয়েছে বেশি। বাজার গোপালপুর দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম জানান, বৃষ্টির পর অন্য ধরনের জিনিসপত্র কেনা বেচা না বাড়লেও সার- কীটনাশক দোকানে বিক্রি বেড়েছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের (০১৭২১-৪৮১৩৬০) রাকিবুল বলেন, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাত থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ১৩৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।