আশুলিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ঝিনাইদহের নাঈম
ঝিনাইদহের চোখ-
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে আশুলিয়ায় প্রাইভেটকার নিয়ে ডাকাতির প্রস্ততিকালে দেশিয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এ সময় তল্লাশি করে প্রাইভেটকারে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত রামদাসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকায় আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে ভোরে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কবরস্থান রোডের বিপরীত পাশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার সুবনাপুর গ্রামের মো. আকতার হোসেনের ছেলে মো. সাজু (১৯), নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার কাকিনা চাপানি গ্রামের মো. আরশাদ হক-এর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান সম্রাট (১৮), ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার সিগারপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে জাহারুল ও ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. নাঈম। তারা বর্তমানে আশুলিয়ার ইসলামনগর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থাকে।
পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইপাইলের দিকে টহলরত অবস্থায় আসার পথে ডেন্ডাবর কবরস্থান রোডের বিপরীতে আল মদিনা বিরানী হাউজের হোটেলের সামনে একদল ডাকাত চলন্ত যানবাহন গতিরোধ করে ডাকাতির প্রস্তুতির নেয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে একটি নিল রংয়ের প্রাইভেটকার। অভিযান চালিয়ে তাদের ৪ জন গ্রেপ্তার করা হয়। পালিয়ে যায় একজন। তাদের ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটাকারসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। মুলত মহাসড়কে যানবাহনসহ পথচারীদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে সব লুটে নেয় তারা। তাদের পিছনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। সেই প্রভাবশালীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া যে প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে, সেটার মালিকের পরিচয় পেতে কাজগপত্র যাছাই করা হচ্ছে।