ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে জেলা সদরসহ মোট ৬টি উপজেলার ৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে তুলনামূলকভাবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ৩ নং ওয়ার্ড (ঝিনাইদহ সদর) মোরাদিম মোস্তাকিম মনির। তিনি ঘুড়ি প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ১’শ ৫০ টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী হয়েছেন অলিমপিক হোসেন। তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৮ ভোট। এছাড়াও আশিকুর রহমান বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৩ ভোট, মোস্তফা পলাশ অটোরিক্স্রা প্রতীকে ১ ভোট এবং মিজানুর রহমান তালা প্রতীকে শুন্য ভোট। ৩ নং ওয়ার্ড (ঝিনাইদহ সদর) মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২২৪ টি। তার মধ্যে ২২২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তাদের মধ্যে ২ জন ভোটার ভোট প্রদানে বিরত ছিলেন।
৬টি উপজেলায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় দুপুর ২ টায়। জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৯’শ ৫৪ জন। এর মধ্যে ৯’শ ৪৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রাপ্ত ভোট হতে ২টি ভোট বাতিল বলে গন্য হয়। ঝিনাইদহ সদর ওয়ার্ডের ভোট উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ঝিনাইদহ সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম সরোয়ার।
জেলা পরিষদের এ ভোটে ৪ নং ওয়ার্ড (কালীগঞ্জ) সদস্য পদে দুই প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও জসিম উদ্দিন সেলিম সমান সংখ্যক ভোট পান। পরে লটারির মাধ্যমে জসিম উদ্দিন সেলিম বিজয়ী হয়।
এছাড়াও জেলা পরিষদ সাধারণ সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ড (শৈলকুপা) মুখতার আহমেদ মৃধা, ২ নং ওয়ার্ড (হরিনাকুন্ডু) আলাউদ্দিন, ৫ নং ওয়ার্র্ড (কোটচাদপুর) রাজিবুল কবির এবং ৬ নং ওয়ার্র্ড (মহেশপুর) লিটন মিয়া। সংরক্ষিত নারী আসনে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড অনিতা রানী বিশ্বাস এবং ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড আনোয়ারা বেগম নির্বাচিত হন।
মোরাদিম মোস্তাকিম মনির বলেন, বিগত দিনেও আমি জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে বিজয় লাভ করে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও জনপ্রতিনিধিরা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সামনের দিনে সকলের সহযোগিতায় আমি আরও ভালো কাজ করে যাব এবং ভোটে যারা পরাজিত হয়েছে তাদের সফলতা কামনা করি।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোটদানের লক্ষে তাদের টহল অব্যাহত রাখেন।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্র্থী ২ জন, সাধরণ সদস্য পদে পুরুষ ২২ জন এবং সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য ১৩ জন প্রতিদ্বন্দিতা করেন।