ঝিনাইদহে আমনে কাঙ্খিত ফলন না হওয়ার শঙ্কা কৃষকের
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ চোখ–
ঝিনাইদহে চলতি আমন মৌসুমে নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। বর্তমান সময়ে ধান গোছাতে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষক, বাড়িতে কৃষাণীদেরও ব্যাস্ততার শেষ নেই। মাঠের ফসল গোছানো সময় আসলেই কদর বাড়ে শ্রমিকদের।
সরেজমিন দেখা যায়, কোন কৃষক জমির ধান কাঁটছে, কেউ ধানের আঁটি বাঁধছে। আবার পাওয়ার টিলারে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ধানসহ খড়।
কথা হয় সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর গ্রামের ধান চাষি মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ধান কাটার এখন ব্যাস্ততা অনেক বেশি। শ্রমিকের হাজিরা বেশি। তারপরও সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কেউ কনটাক্ট নিয়ে ধান কাটা বাঁধা করছেন। প্রতিবিঘা জমির ধান কেটে, বাঁধতে এলাকা ভিত্তিক ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিচ্ছে। তারপর ধান ঝাড়তে বিঘা প্রতি আটশো টাকা নিচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৪ হাজার ৩৩৩ হেক্টরে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, আমন চাষের শুরুতেই চাষিদের বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়েছে। জুন মাসে বীজতলা তৈরির সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টি হয়নি। অনেক চাষি সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি করে। অনেক চাষি বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত তাদেরও সেচ দিয়েই বীজতলা করতে হয়। চাষ নাবি হয়।
চাষিদের অভিযোগ, পটাশ ও ইউরিয়া সারের অভাব ছিল। তার পরও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে ধান চাষ করা হয়। ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যাচ্ছে না বলে চাষিরা দাবি করেছেন।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজগর আলী বলেন, ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিঘা প্রতি জমিতে ২০ থেকে ২১ মন ফলন হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন। বর্তমান ধানের বাজার দাম ভালো।