ঝিনাইদহের ৩টি আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের ভোট বর্জন
ঝিনাইদহের চোখঃ
ভোটকক্ষ থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে পুলিশের সহযোগিতায় জালভোট প্রদান করে বাক্সভর্তি, ভোটারদের মারধর ও পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ-১, ঝিনাইদহ-৩ ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
রবিবার বিকেলের দিকে পৃথকভাবে ৩টি আসনের প্রার্থীরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সেই সাথে তারা আসনগুলোতে পুনঃতফসিলের দাবি জানান। এর আগে ঝিনাইদহ-২ আসনে প্রার্থী আব্দুল মজিদকে হাইকোর্ট তার প্রার্থীতা বাতিল করে। ফলে ওই আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী শুন্য হয়ে যায়।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এছাড়াও বিএনপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এসব অভিযোগ পুলিশকে জানানো হয়ে পুলিশ তাকে সহযোগিতা করেনি।
ভোটের কোনো পরিবেশ শৈলকূপাতে নেই বলে তিনি ভোট বর্জন করেন বলে জানান তিনি। সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্ত করে আসনটিতে পুনঃতফসিলের দাবি জানান।
এদিকে, ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর) আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা মতিয়ার রহমান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে বাঁধা দেওয়া ও কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকার সিল মেরে বাক্সভর্তি, নির্বাচনী পরিবেশ না থাকার অভিযোগ আনা হয়।
রবিবার দুপুরের দিকে ওই প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ফারুক আহাম্মেদ সাংবাদিকদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভোট বর্জনের এ তথ্য জানান। এ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মওলানা মতিয়ার রহমান জেলে থাকায় তার নির্বাচনী এজেন্ট ফারুক আহাম্মেদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
ঝিনাইদহ-৪ (সদরের আংশিক-কালীগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ জানান, নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ভোটকেন্দ্র আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দখলে নেয়। তারা বিএনপির এজেন্ট বের করে দিয়ে তাদের প্রার্থীর পক্ষে নৌকায় মার্কার ব্যালট পেপার বাক্সভর্তি করে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সেই কারনে ভোট প্রত্যাখান করে পুনরায় নিরপেক্ষ ইসির আন্ডারে ভোটগ্রহনের দাবি জানান।
তবে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সরোজ কুমার নাথ জানান, কোনো প্রার্থীর ভোট বর্জনের খবর তার জানা নেই। কেউ তাকে এ বিষয়ে কিছু বলেনি।