ঝিনাইদহে আলু চাষীদের মুখে হাসি
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ চোখ-
বাজার দাম ভালো পেয়ে জমি থেকে কাঁচা আলু বিক্রি করছে ঝিনাইদহের চাষিরা। বর্তমান প্রতি বিঘা জমিতে ৭৫ থেকে ৮০ মন আলু উৎপাদন হচ্ছে। আর পাইকারী ব্যবসায়ীগণ জমি থেকে প্রতিমন ৮’ শ থেকে ৮’ শ ২০ টাকা দামে কিনছে। বিঘা প্রতি জমিতে উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকায়। খরচের তুলনায় লাভ পেয়ে খুঁশি আলু চাষিরা।
জেলার মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের আলু চাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছর নভেম্বর মাসে আলুর বীজ জমিতে লাগানো হয়েছে। আলু পাঁকতে এখনও বেশ কিছু দিন সময় লাগবে। এখন জানুয়ারি মাস, কাঁচা আলু জমি থেকে তুলে পাইকারদের নিকট বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত আলুর বীজ জমিতে লাগানোর ৮০ থেকে ৮৫ দিনে কাঁচা আলু তুলে বিক্রি করা যায়। তিনি এই আলু তুলে ওই জমিতে ইরিধান রোপণ করবেন। তাই কাঁচা আলু তুলেছেন। তার মত অনেকে আলুর জমিতে ইরিধান রোপণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কৃষি অধিদফতর জানায়, জেলার ছয় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৪৪৬ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৫৯ হেক্টর কম। এর মধ্যে হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৯০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে অর্জিত হয়েছে ৮৬ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ১৮০ হেক্টরের মধ্যে আবাদ হয়েছে শতভাগ জমিতে, কালীগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আলুর আবাদ। এখানে ৯৫ হেক্টরের জায়গায় আবাদ হয়েছে ৯৭ হেক্টর জমিতে। শৈলকুপায় ১১০ হেক্টরের মধ্যে ১০৯ হেক্টর, মহেশপুরে ৮১০ হেক্টরের মধ্যে ৫৫৪ হেক্টর এবং সদর উপজেলায় ৪২০ হেক্টরের মধ্যে আলুর আবাদ হয়েছে শতভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
আলু ব্যাবসায়িদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীতের সময় নতুন আলু অন্য জেলা থেকে ঝিনাইদহে আনা হয়। গত বছর ঝিনাইদহের আলু চাষিরা কম দাম পেয়েছে। যে কারণে এবছরে তোলার মতো হতেই জমি থেকে আলু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছে। বর্তমান ভালো দাম পাচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে সার, কীটনাশক, বীজ, শ্রমিক, সেচসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হবে। আলুর উৎপাদন বিঘাপ্রতি জমিতে ৭৫ থেকে ৮০ মণ বা তার চেয়ে কম- বেশি হতে পারে । তবে এবছর বাজার দাম ভালো থাকবে বলে তিনি জানান।#