‘নীল চা’ কমাবে ওজন
ঝিনাইদহের চোখঃ
ইদানিং সাধারণ চা বা কফির তুলনায় ভেষজ চা বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ধরণের ভেষজ চা পাওয়া যায়, একেকটির একেক উপকারিতা। এসব চায়ে ক্যাফেইন নেই বলে তা বেশি পছন্দ অনেকের। তেমনি একটি চা হলো ব্লু টি বা নীল চা।
এই চা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় শুকনো নীল অপরাজিতা ফুল। তা যে শুধু দেখতে সুন্দর তা নয়, এই চা ওজন কমাতেও সক্ষম। পাশাপাশি এই চা স্ট্রেস কমাতেও কাজে আসে।
অপরাজিতা ফুল সবার পরিচিত হলেও তা থেকে যে চা তৈরি করা যায় তা জানেন না অনেকেই। মূলত থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে শুকনো অপরাজিতা ফুটিয়ে চা তৈরি করা হয়। এর সাথে দেওয়া হয় লেবু ও মধু। লেবুর রস যোগ করলে এই চায়ের রঙ নীল থেকে বেগুনি হয়ে আসে। অনেক দেশে এই চায়ের ‘পাতা’ পাওয়া যায়।
উপকারিতা:
১. এই চায়ে রয়েছে ক্যাটেচিন, যা পেটের মেদ কমাতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। গরম গরম এই চা পান করলে মেটাবলিজম বাড়ে, ফলে শরীর বেশি ক্যালোরি পোড়ায়।
২. নীল চায়ে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যারা ডিটক্স ডায়েট করছেন, তারা এই চা পান করতে পারেন নিয়মিত।
৩. এই চায়ের অ্যান্টি-গ্লাইকেশন বৈশিষ্ট্য আছে বলে দাবি করা হয় এবং এ কারণে তা ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের তারুণ্যকে ধরে রাখে। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়েও ত্বকের উপকার করে।
৪. এই চায়ের সুবাস মেজাজ ভালো করে। নীল চা পান করলে স্ট্রেস দূর হয়, অ্যাংজাইটি কমায়।
৫. অনেকের শরীরে পানি এসে ফুলে যায়। নীল চা ডাই-ইউরেটিক বলে তা শরীর থেকে এই পানি দূর করতে কাজে আসে।
৬. যদিও এ বিষয়টি এখনো পরীক্ষিত নয়, তবে দাবি করা হয় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে নীল চা।
এছাড়া নীল চা লিভারের জন্য ভালো, রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে পারে এমনটা দাবি করেন কেউ কেউ, কিন্তু তা প্রমাণিত নয়। নীল চা সাধারণ চা ও কফির চেয়ে স্বাস্থ্যকর বটে। ক্যাফেইন গ্রহণ কমাতে চাইলে এই চা পান করতে পারেন।
বাড়িতে নীল চা বানাতে চাইলে অপরাজিতা ফুল পরিষ্কার করে শুকিয়ে রাখুন। এরপর তা পানিতে ৩-৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। স্বাদমতো লেবু ও মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি আপনার ‘ব্লু টি’।