ঝিনাইদহ পৌরসভায় রেকর্ড সাতাশ লাখ টাকার সিডিউল বিক্রি
ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহ পৌরসভায় প্রথম বারের মত লটারী করে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। আজ ররিবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত পৌর অডিটরিয়ামে ডিজিটাল প্লাটফর্মে এ লাটারী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় গন্যমান্য ব্যক্তি, গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিপুল সংখ্যক ঠিকাদারের উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, পৌর এলাকার রাস্তা ঘাট ড্রেন কালভার্ট এবং কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণের জন চলতি মাসে ৩৫ গ্রুপ টেন্ডার আহবান করা হয়। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে চার কোটি ছিয়াত্তর লাখ টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন (এডিবি) খাত থেকে মিলবে এক কোটি দুই লাখ এবং বাকি অর্থ পৌরসভার নিজস্ব আয় থেকে খরচ করা হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি দরপত্র দাখিলের শেষ সময়ে দুই হাজার সাতশত সিডিউল বিক্রি করা হয়েছে। এ থেকে সরকারের আয় হয়েছে সাতাইশ (২৭) লাখ টাকার বেশী। যা অত্র পৌরসভার সর্বকালের রেকর্ড।
লটারী অনুষ্ঠানের আগে পৌরসভার মেয়র মোঃ কাইয়ুম শাহারিয়ার জাহিদী হিজল সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ১৪ জন টিকাদারের স্থলে বর্তমানে ২২২ জন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সচ্ছতা এবং জবাব দিহিতা নিশ্চিত করতে লটারী করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর (২০২২) ৩রা অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহনের সময় মাত্র ৭৩ লাখ টাকার তহবিল পেয়ে ছিলেন। এখন কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজস্ব খাত থেকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১২ জন (সংরক্ষিত মহিলাসহ) কাউন্সিলরদের উন্নয়ন কাজের জন্য ২৫ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় সরকারের কাছে পাঠানো ১৪০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ বছরের পুরাতন পানির পাইপ লাইন সংস্কারের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৯০ কোটি টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কোভিড ফান্ড থেকে ১২ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই ঝিনাইদহ পৌরসভাকে তিলত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু, আঞ্জুয়ারা, নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন সহ পরিষদের কাউন্সিলর বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন