ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, আরিফুল না আসলে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ
যে দিন আরিফুল ইসলাম আসেন, সে দিন অক্সিজেন লাইন চালু থাকে। না আসলে অক্সিজেন পান না রোগীরা। এমনকি অক্সিজেনের অভাবে রোগীর জীবন বিপন্ন হয়।
আরিফুল এ কাজে টেকনিশিয়ান নয়, তিনি আউট সোর্সেংয়ে চাকরী করেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রোগীদের অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ লাইন নিয়ে এ সব তথ্য দেন। দক্ষ লোকের অভাবে অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ লাইন অচল হয়ে আছে। সব ওয়ার্ডে কিছু কিছু পয়েন্ট চালু থাকলেও লোকবলের অভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি।
অনেকটা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা। প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগ না দিয়েই অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ লাইন স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত অক্সিজেন গ্যাস লাইন ৬ বছরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০১২ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ লাইন নির্মানের জন্য কার্যাদেশ প্রদান করে। ঠিকাদার ২০১৩ সালে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে কাজটি সমাপ্ত করে চলে যায়। সেন্টাল পয়েন্ট থেকে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিল। উদ্যোগটি জনকল্যানকর হলেও প্রশিক্ষিত লোকের অভাবে প্রকল্পটি সর্ম্পুভাবে চালু করার আগেই নষ্ট হয়ে গেছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অপুর্ব কুমার জানান, শুরু থেকেই টেকনিশিয়ান নেই। আরিফুল ইসলাম নামে এক ছেলেকে দিয়ে অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ লাইন কোন রকম টিকিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি না আসলে চলে না। তাছাড়া লাইনে ত্রুটি হলে সে মেরামত করতে পারে না। ফলে অনেক পয়েন্ট নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিকমতো মেইনটেনেন্স হচ্ছে না। প্রশিক্ষিত জনবল থাকলে অল্প টাকায় লাইন বা পয়েন্ট মেরামত সম্ভব ছিল।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আইয়ুব আলী প্রথমে কিছুই জানেন না এমন আচরণ করলেও পরে বলেন, আরিফুল নামে একজন সেচ্ছাসেবক দিয়ে পার্টলি লাইন চালানো হচ্ছে। পরিপুর্ন সেটআপ না থাকায় রোগীদের অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না।