জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
সরকারী নিময় অনুযায়ী ঝিনাইদহের মহেশপুরের সব সরকারী বা বে-সরকারী স্কুল গুলো খোলার কথা সকাল ৯টার মধ্যে। কিন্তু সব স্কুলের সাথে তো আর সূর্যদীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনা করা যায়না। সব সরকারী বা বে-সরকারী স্কুল গুলো সকাল ৯টার মধ্যে খোলা হলেও সূর্যদীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি খোলা হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। কারণ এ স্কুলের শিক্ষকদের সাথে উপজেলা শিক্ষা অফিসের রয়েছে সুম্পর্ক। তাই তো ৯টা স্কুল সাড়ে ১০টায় খুললেও কোন সমস্যা নেই।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দু’জন সাংবাদিক সূর্যদীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির টাকা আতœসাতের একটি অভিযোগ পেয়ে স্কুলটিতে যায়। স্কুলে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের সামনে তৃপ্তি খাতুন নামের এক শিক্ষিকা দারিয়ে আছেন স্কুল খোলার অপেক্ষায়।
শিক্ষিকা তৃপ্তি খাতুন জানান, স্কুলের খেলা ধুলা আছে তাই আজ একটু স্কুল খুলতে দেরী হয়ে গেলো। তা ছাড়া স্কুলের ৫জন শিক্ষকের মধ্যে ১জন আছেন ছুটিতে আর ২জন আছেন টেনিংয়ে। তাছাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শারীরীক অবস্থাটাও ভালো না।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েক জন অভিভাবক জানান, আমাদের এ স্কুলটি এমনই ভাবে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা শিক্ষকরা নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে তুলে খেলেও শিক্ষা অফিসে আমরা অভিযোগ দিলেও কোন বিচার পাইনি। কি দেখেছি তদন্ত করতে আসলে আমাদেরকে না ডেকে শিক্ষকদের কাছে শুনেই তদন্ত শেষ করে চলে যান তদন্তকারী ঐ কর্মকর্তা। তারা আরো জানান,স্কুল উন্নয়নের নামে যে টাকা আসে তারও ঠিক মত কোন কাজ করা হয়না।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেসমিন খাতুন জানান, স্কুল তো ৯টার সময় খোলার কথা। কিন্তু কেন আজ এমন হলো তা আমার জানানেই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান এ বিষয়ে জানান, স্কুলতো সকাল ৯টার সময় খোলার কথা। কিন্তু কেন সাড়ে ১০টার সময় খোলা হলো। আমি বিষয়টি দেখছি।
এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীলের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।