ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে কৃষকরা বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত

মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহে আসন্ন ইরি বোরো আবাদকে সামনে রেখে কৃষকরা বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাধারন বীজতরার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পরামর্শে আদর্শ বীজতলা তৈরিতে আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ৮২ হাজার হেক্টর ইরি বোরো আবাদের লক্ষ্য রেখে ১’শ ১৭ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে ১৭ হেক্টর হাইব্রীড ধানের বীজতলা রয়েছে। কৃষকরা ব্রী-ধান বাসমতি, ব্রী-ধান ৫৮, সুবল লতা, রনজিতসহ এলাকা ভিত্তিক স্থানয়ি জাতের ধানের বীজতলাও তৈরি করছেন।

জেলার বিএডিসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় ১৩ জন, শৈলকুপায় ৬ জন, হরিনাকুন্ডে ৪ জন, কোটচাঁদপুরে ২ জন, মহেশপুরে ৩ জন এবং কালীগজ্ঞ উপজেলায় ৭ জন নির্ধারিত পরিবেশকের মাধ্যমে ন্যায্য দামে কৃষকরা ইরি বোরো ধানের বীজ ক্রয় করছেন। তবে সঠিক ভাবে কৃষদের নিকট বীজ সরবরাহের জন্য পরিবেশকের সংখ্যা চলতি অর্থ বছররে বাড়বে।

সদর উপজেলার বাজার গোপালপুরের বীজ ব্যবসায়ি আব্দুস সালাম বলেন, সাধারনত বিএডিসি’র বীজ ব্যবসায়ির পাশাপাশি কোম্পানিও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কৃষকদের মাঝে বীজ সরবরাহ করছে। এক সময় কৃষকরা নিজেরাই তাদের জমিতে উৎপাদিত ধানের বীজ রাখতেন এবং পরবর্তি মরসুমে জন্য ব্যবহার করতেন। কিন্তু গত কয়েক বছর লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নিজেদের উৎপাদিত বীজের তুলনায় বাজার থেকে কিনতে আগ্রহ বেড়েছে।

মধুহাটি ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ আহমেদ বলেন, কৃষকরা এখন অনেক সচেতন। কোন কোন কৃষক বীজতলা প্রায় ২০/২৫ দিন আগেই শেষ করেছে। কেউ কেউ আদর্শ বীজতলা তৈরি করেছে। সাধারনত ব্রী-ধান ৫০, ব্রী-ধান ৫৮ সহ বিভিন্ন জাতের ধানের বীজতলা করছে।##

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button