ঝিনাইদহে বাল্য বিবাহ
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বামনাইল গ্রামের ১৪ বছরের তৃষ্ণা মল্লিক নবম শ্রেনীতে পড়তো। তার ইচ্ছা ছিল পড়ালেখা করে বড় হবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। কিন্তু তার এই আশায় বাধ সাধেন পিতা শ্যামল কুমার মল্লিক।
তড়িঘড়ি করে নাবালক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় করা হয়। সে মোতাবেক সোমবার রাতে মাগুরার শালিখা উপজেলার নরপতি গ্রামে বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের গাড়ি এসে তৃষ্ণাদের উঠোনে দাড়ায়। ভয়ে হিমশীতল হয়ে আসে নাবালক তৃষ্ণার শরীর।
বিষয়টি জানতে পেরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জীবন কুমারের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হলেও গোপনে মাগুরায় নিয়ে মঙ্গলবার বিয়ে দেওয়া হয় সেই তৃষ্ণাকে। সে বামনাইল পল্লী মঙ্গল হাই স্কুলের নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী।
এসআই জীবন কুমার খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেয়েটি একেবারেই অল্প বয়স। তাই তিনি বামনাইল গ্রামে গিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেন।
তিনি বলেন, শুনেছি মঙ্গলবার তৃষ্ণার পিতা শ্যামল মল্লিক অন্যত্র নিয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম বলেন, ‘রাতেই আমরা বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে মেয়েটির আগে আরেকবার বিয়ে দেওয়া হয় বলে শুনেছি’।