ঝিনাইদহ ভেটেনারি ভিপি মুরাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম ।। সুষ্ঠ বিচারের দাবী

ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের দ্বন্দে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ২জন। ধাওয়ায় প্রাণ বাচাঁতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারী ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপিসহ নিহত ৩ শিক্ষার্থী। পরিবার ও সহপাঠিদের অভিযোগ তাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ঝিনাইদহ সরকারী ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি ও শেষ বর্সের ছাত্র সাইদুজ্জামান মুরাদের বাড়ি সদর উপজেলার ঘোরশাল ইউনিয়নের কুশোবাড়িয়া গ্রামে । তার বাবা বাদশা বিশ্বাস বলেন, তাদের সন্তানসহ আরো ২জন শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তার ।
মুরাদের স্ত্রী সুমি একেবারেই বাকরুদ্ধ। তিনি এখনও স্বামীর পথ চেয়ে বসে আছেন । তিনি বলেন, আমার স্বামী মেধাবী ছাত্র । তিনি কখনই কারো ক্ষতি করেননি। আপনারা গ্রামের মানুষের কাছে শোনেন, মানুষ তাকে কতটা ভালোবাসে ।
অন্য দুই শিক্ষার্থী তৌহিদের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা ও শমরেসের বাড়ি যশোরে। ময়না তদন্ত শেষে তাদের সকলের নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত-সরকারী ভেটেরিনারি কলেজে ডিগ্রী বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলে আসছে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করে কলেজের জিএস সজীব ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্র ফাহিমের মধ্যে শত্রæতা চলে আসছে। এরই জের ধরে গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে শহর থেকে ভিপি মুরাদ ও জিএস সজীবসহ ৯ জন তিনটি মোটরসাইকেলে কলেজে ফিরছিল। ফেরার পথে প্রতিপক্ষরা তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা জীবণ বাচাতে পালাতে যায়। এ সময় এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে প্রতিপক্ষরা। সেসময় ভিপি মুরাদসহ ৩ জন মোটরসাইকেলে পালানোর চেষ্টা করে। পেছন থেকে ধাওয়া দেওয়ায় আঠারো মাইল নামকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের ভিপি মুরাদ, সাধারন শিক্ষার্থী তৌহিদ ও শমরেশ ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ঝিনাইদহ সরকারী ভেটেরিনারি কলেজের জিএস সজীব আহমেদ বলেন, ওই রাতে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই মুলত হামলা চালানো হয়। কলেজের প্রতিপক্ষ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম হাসান সনির গ্রæপ এ হামলা চালায়। মোটর সইকেলে করে পালনোর সময় আমাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে আমি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। তিনি বলেন, তাদের উপর হামলা ও ধাওয়া করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ফলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়ক দুঘর্টনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে ।
ঝিনাইদহ ওসি সদর থানা শেখ মোঃ সোহেল রানা জানান, মারামারির ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২৮ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে । ইতিমধ্যে ২ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাকি হত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।