এডিসের লার্ভা খেয়ে ডেঙ্গু কমাবে মসকুইটো ফিশ

#ঝিনাইদহের চোখঃ
মসকুইটো ফিশ বা মশাভুক মাছ, অস্ট্রেলিয়া হলো এ প্রজাতির মাছের আদি বাসস্থান। এ মাছের প্রধান খাদ্য হলো মশার ডিম আর বাচ্চা মশা (লার্ভা)। এ কারণেই এদের নাম মসকুইটো ফিশ বা মশাভুক মাছ। দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় এডিস মশার বাচ্চা বা লার্ভা ধ্বংস করতে মসকুইটো ফিশ সহায়তা করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ডেঙ্গু প্রতিরোধ মসকুইটো ফিশ কতটুকু কার্যকর তা পরীক্ষার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের ড্রেনগুলোতে প্রায় প্রায় আট হাজার মশাভুক মাছ (মসকুইটো ফিশ) ছাড়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর নেতৃত্বে আগামী বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন নর্দমায় ওই মাছ ছাড়া হবে জানা গেচে।
মশাভুক মাছ (Mosquito Fish) ছাড়ার মাধ্যমে মশার ডিম নিধন সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষক দলের প্রধান ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ জানান, মসকুইটো ফিশ প্রায় ১০ বছর আগে আমেরিকা থেকে দেশে অ্যাকুরিয়াম ফিশ হিসেবে আসে। পরে এটি দেশের মুক্ত জলাশয় এবং ড্রেনে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক বছর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ড্রেনে মশা দমনে মসকুইটো ফিশ ও গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়।
তিনি বলেন, গবেষণার একপর্যায়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ড্রেন ও নর্দমার প্রচণ্ড নোংরা পানিতে আমরা ‘মশাভুক মাছ’-এর সন্ধান পেয়েছি। এইসব মাঠের প্রধান খাদ্য হলো মশার ডিম ও লার্ভা।এই মাছ ড্রেন ও নর্দমার প্রচণ্ড নোংরা পানিতে স্বাভাবিকভাবেই বেঁচে থাকতে পারে।
ড. হারুনুর রশীদ জানান, গবেষণায় দেখা যায় মশার লার্ভা ভক্ষণে দেশীয় খলিশা, দারকিনা, জেব্রা ফিশ মসকুইটো ফিশের চেয়ে বেশি উপযোগী হলেও এরা নর্দমার নোংরা পানিতে বেশি দিন বাঁচতে পারে না। তাই নর্দমার পানিতে মশার লার্ভা নিধনে মসকুইটো ফিশ সবচেয়ে বেশি উপযোগী।