ঝিনাইদহে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর ও কার্ড ছিনতাই
![](https://i0.wp.com/jhc24.com/wp-content/uploads/2018/10/tawbah-20181024124435-10.jpg?resize=780%2C373&ssl=1)
ঝিনাইদহে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের হাতে ৪ জন অপারেটর আহত হন। দুর্বৃত্তরা শতাধিক স্মার্টকার্ড ছিনতাই, ল্যাপটপ ভাংচুর ও ২২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলা সুত্রে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কেবিপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক নুর আলী বাদী হয়ে ১১ জনের নামউল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলা নং ৫৩। ঝিনাইদহ নির্বাচন অফিস মহারাজপুর ইউনিয়নে সাময়িক ভাবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ বন্ধ রেখেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন নিয়ম ভঙ্গ করে কৃষ্ণপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ কার্ড নিতে গিয়ে টিমের অপারেটর মাজেদুল ও সাইদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে রশিদ মারার হুমকী দিয়ে চলে যায়। এরপর বিকালে রশিদের নেতৃত্বে আফান মন্ডলের ছেলে মিনারুল, খাইরুল ইসলাম, সিদ্দিকের ছেলে উৎস, আমিরুলের ছেলে জনি মন্ডল, রুহুল আমিনের ছেলে সংগ্রাম, মনিরুলের ছেলে শেখর আহম্মেদ, নাছিরের ছেলে সোহানুর, আশরাফুলের ছেলে টিপু সুলতান, কওছারের ছেলে রাশেদ খান সজল ও মালেক মোল্লার ছেলে মোদাচ্ছের হোসেন হাতুড়ি, লাঠিসোটা ও গাছিদা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় কেন্দ্রে কর্মরত নির্বাচন অফিসের স্টাফ ইমদাদুল হক মিলন, তৌহিদুল ইসলাম, ইসরাফিল হক ও গোলাম সারোয়ার আহত হন। দুর্বৃত্তরা ১২০ থেকে ১৩০ টি স্মার্টকার্ড ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ভাচুর করে একটি ল্যাপটপ। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট স্বাধীনের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ খবরের সত্যতা স্বীকার করে বৃহস্পতিবার জানান, আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুত আসামী গ্রেফতার পুর্বক হারানো স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে কৃষ্ণপুর গ্রামের সাধারণ ভোটাররা অভিযোগ করেন সরকার সমর্থক পরিচয় দিয়ে কিছু যুবক এই হামলার সাথে জড়িত। তাদের কারণে আজ আমাদের কপাল পুড়লো।