ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহের ওসির বিরুদ্ধে দুই নারীকে হয়রানির অভিযোগ: যুগান্তর রিপোর্ট

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেছেন দুই নারী। তাদের একজন মানবাধিকার কর্মী, অপরজন গৃহবধূ। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জে কে চৌধুরী মৌ ও বিউটি বেগম নামের ওই দুই নারী।

লিখিত বক্তব্যে জে কে চৌধুরী মৌ নিজেকে মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টের ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ সম্পাদিকা দাবি করে বলেন, আমার কাজের কারণে প্রায়ই ঝিনাইদহ থানার ওসির কাছে আইনি সহায়তার জন্য যেতে হয়। এ সুযোগে ওসি তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিউটি বেগম তার স্বামী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যাণ ট্রাস্টে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, আনোয়ার হোসেন নারী ও শিশু পাচারকারী। তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকার গরিব মেয়েদের ফুসলিয়ে বিয়ে করেন, এরপর পাচার করে দেন বিদেশে। বিউটি বেগমকেও বিদেশে পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। এ অভিযোগ নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি তাদের মামলা নেননি। বিষয়টি জানতে পেরে আনোয়ার হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২১ অক্টোবর একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় বিউটি বেগম, জে কে মৌসহ চারজনকে আসামি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জে কে মৌ এবং বিউটি বেগম ওসির রোষানল এবং হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার আকুতি জানান।

এদিকে যোগাযোগ করা হলে বিউটি বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ওরা একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। আমার বিরুদ্ধে ওরা যেসব অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন। এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ যুগান্তরকে বলেন, অনৈতিক প্রস্তাবের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জে কে মৌকে আমি চিনি না। তা ছাড়া যে মামলা হয়েছে, তার তদন্ত হবে। তারা যদি দোষী না হয় তবে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button