ঝিনাইদহে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্বসাতের অভিযোগ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে কাজ না করেই স্লিপ প্রকল্পের টাকা আত্বসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলার গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা জাহিদুল আলম এবং এডহক কমিটির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
এ ঘটনায় গাজীপুর গ্রামের বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা সোমবার থেকে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। শহিদুল ইসলাম আরো জানান, তিনি ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। পরে ১ বছর কমিটি ছাড়াই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালান প্রধান শিক্ষক। নিয়মিত কমিটি গঠন না করে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এডহক কমিটি গঠন করা হয়।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ এবং ২০১৮ দুই বছরে গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকার স্লিপ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা এবং শিশু শ্রেণির জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়। দুই বছরের বরাদ্দের টাকা এক বছরে উত্তোলন করা হয়েছে। বরাদ্দের ৯০ হাজার টাকা দায়সারা গোচের কাজ করে ভুয়া ব্যয় ভাউচারের মাধ্যমে সমুদয় টাকা পকেটস্থ করেছেন প্রধান শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষক মোস্তফা জাহিদুল আলম জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের টিফিন বাটি, খাতা কলম, সাউন্ড সিষ্টেম এবং ফ্যান ক্রয় করে ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কোন টাকা আত্বসাত করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো জানান তার বিরুদ্ধে সাবেক সভাপতির দায়ের করা অভিযোগ ভিত্তিহীন। গাজীপুর গ্রামের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ফরিদ ও ফজের আলী বলেন স্লিপ প্রকল্পের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। সরকারী টাকার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে যেতে দেয়া হবে না।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দু’জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এ শিক্ষা কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত সদ্য জাতীয়করন এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১০৭ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। আর পাঠদান করছেন ৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।