অন্যান্য

যেভাবে চেনা যায় দুর্বল হৃৎপিণ্ড

মাঝেমধ্যেই যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কিংবা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে অল্পতেই ক্লান্ত লাগে তবে বিষয়টি হেলায় উড়িয়ে দেবেন না। কারণ হার্টের দুর্বলতার কারণেও এমনটা হতে পারে। গুরুতর সমস্যা হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ দেখে অনেক সময় আগেই বোঝা যায় হৃৎপিণ্ড দুর্বল।

নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা
হার্টের রক্ত ঠিকমতো চলাচল করতে না পারলে ফুসফুসের ভেতরে চাপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে রোগীর শরীরে অক্সিজেন যাতায়াতে সমস্যা হয় এবং সে কারণেই শ্বাস নেয়ার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অন্যরকম শব্দ হয়।

সিঁড়িতে সমস্যা
হার্ট যথেষ্ট রক্ত পাম্প করতে না পারলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও পেশী ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এ কারণে তাড়াতাড়ি ক্লান্তি বোধ আসতে পারে এবং সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় কষ্ট হয়।

ধারণক্ষমতা কমে যায়
মস্তিষ্ক ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ করতে না পারায় মনোযোগেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যারা মস্তিষ্কের কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটার ব্যাপারটি ভালোভাবেই পরিলক্ষিত হয়।

রাতে টয়লেটে যাওয়া
অনেক সময় দুর্বল হৃৎপিণ্ডের রোগীদের শরীরের পানি সারাদিন ধীরে ধীরে পায়ে জমা হয়। রাতে বিছানায় শোওয়ার পর তা কিডনির মাধ্যমে বের হয়।

পা ফুলে যাওয়া
দুর্বল হার্ট যথেষ্ট শক্তি দিয়ে রক্ত শরীরের নানা অঙ্গে পাম্প করে পাঠাতে পারে না বলে অনেক সময় তা পায়ে নেমে যায়। তাই তখন পা ফুলে যায়।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে, সব সময় ক্লান্ত লাগলে এবং এ সবের পাশাপাশি পা ফুলে গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। সময় মতো রোগ নির্ণয় হলে হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা অসম্ভব নয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button