ঝিনাইদহ সদর

টাকার অভাবে পঙ্গু হতে চলেছে ঝিনাইদহের গীতা রাণী

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহের চোখ

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু…’, ভূপেন হাজারিকা জীবনমুখী গানের অংশ এটি। মানুষের বিপদের সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করাই মানুষের ধর্ম হওয়া উচিত, একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে।

চিকিৎসার অভাবে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ পার্শ্ববর্তী ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্পে বসবাস করা গীতা দাস (৩৮) অর্থ ও সহানুভূতির জন্য তিন বছর ধরে দিনের পর দিন চোখের জল গড়িয়েছেন।

গীতা দাস জানান, ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। হাঁটলেই ব্যথা করে। কোনো কাজ করতে পারি না। আমার ভাঙ্গা ডান পায়ে যে অপারেশন করে স্টিলের পাত ও স্ক্রু লাগানো। ডাক্তার বলেছিলেন, এক বছর পর পা থেকে এগুলো বের করতে হবে। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস তিন বছর হয়ে গেল টাকার অভাবে পা থেকে এ স্টিলের পাত ও স্ক্রু আর খুলতে পারছি না। এগুলো খুলতে আবারো পায়ে অস্ত্র প্রচার করতে হবে। এতে প্রযোজন ৬০ হাজার টাকা।

রিক্সা চালক স্বামী বিপুল দাসের (৪৫) পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব না। যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চলে কোনোমতে।

নিজের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে গীতা দাস বলেন, তিন বছর আগে দুর্ঘটনায় আমার ডান পা ভেঙে যায়। তখন সদর হাসপাতালে গেলে তারা ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। ডাক্তার বলেন, পায়ে অপারেশন করতে হবে। এতে খরচ হবে ৬০ হাজার টাকা। টাকার অভাবে ঢাকা থেকে ফিরে আসি। পরে ঝিনাইদহের একটি ক্লিনিকে (অর্থো-সার্জারী) ডা. নাজমুল হুদাকে দেখালে তিনিও অপারেশনের কথা বলেন। তখন গরু-ছাগল বিক্রি করে ও মানুষের আর্থিক সাহায্যে আমার ডান পায়ে অপারেশন করা হয়।

অপারেশনে পায়ে স্টিলের রড ও স্ক্রু লাগানো হয়। ডাক্তার বলেন, এক বছর পর এগুলো পা থেকে খুলতে হবে। কিন্তু তিন বছরেও পা থেকে এগুলো খুলতে পারিনি ৬০ হাজার টাকার জন্য। বর্তমানে আমার পা ফুলে যাচ্ছে প্রচণ্ড যন্ত্রনা হয়। রাতে ঘুমাতেও পারি না যন্ত্রণাতে।

সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন গীতা রানী। আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতে যোগাযোগ: ০১৯৯৪-৫৫৪৩০৪ ((গীতা দাস)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button