জয়পুরহাটে আগুনে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৭ জনের
জয়পুরহাট শহরের আরামনগর এলাকায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে লাগা আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ জন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
আহতদের ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের চালক মজনু মিয়া জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মজনু বলেন, দগ্ধদের দুটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়ার পথে যমুনা সেতু পার হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার ভোরে চারজনের মৃত্যু হয়। যেহেতু দুলাল হোসেন নামে একজন এখনও বেঁচে আছেন তাই তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় যাচ্ছে। তাকে সেখানে রেখে বাকি মরদেহগুলো নিয়ে জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা হবে। তবে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স ইতোমধ্যে জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, আরামনগর এলাকার দুলাল হোসেনের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৬০), তার ছেলে মোমিন আহম্মেদ (৩৫), মেয়ে জেএসসি পরিক্ষার্থী বৃষ্টি (১৪), দুলালের জমজ মেয়ে হাসি (১৫), খুশি (১৫), মোমিনের স্ত্রী পরিনা বেগম (৩২) ও মোমিনের দেড় বছরের ছেলে নূর।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী আহসান ও রমিছা বলেন, আগুন দেখে আমরা এগিয়ে গিয়ে জানালা ভেঙে একই পরিবারের আটজনের মধ্যে শিশুসহ পাঁচজনকে বের করে আনতে পারলেও আগুনের তাপের কারণে বাকিদের বের করতে পারিনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাতে মোমেনা বেগম বাসায় রাইস কুকারে রান্না করছিলেন। এ সময় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং পুরো বাড়ি পুড়ে গিয়ে সেখানেই তিনজন নিহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আহতদের সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় দুটি অ্যাম্বুলেন্স।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দুটি ইউনিট মিলে আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাইস কুকারের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।