ঝিনাইদহে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের বেহাল দশা, দেখার কেউ নেই
এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হরিণাকু-ু প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা দেখার কেউ নেই। পৃষ্ঠপোষকতার অন্বেষনে দ্বারে দ্বারে ঘুওে বেড়িয়েছে বিদ্যালয়ের হৃদয়বান উদ্যোক্তা ও জমিদাতা আমিরুল ইসলাম কিন্তু কোন লাভ হয় নি কোথাও মেলেনি আশ্বাস বা অনুদান।
২০১৬সালে ১৫শতক জমি দান করে জমিদাতা উপরে টিন ও বাঁশের বেড়া সম্বলিত এক কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়টির প্রাথমিক অবকাঠামো স্থাপন করে।
দুইজন শিক্ষক ও ৭জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়টির অগ্রযাত্রা শুরু হয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বর্তমানে বিদ্যালয়ের চারটি শ্রেণীকক্ষ ও একটি অফিস কক্ষতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
বর্তমানে প্রধান শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম সহ, সহকারী শিক্ষক চারজন ও শিক্ষীকা চারজন, শিক্ষা সহকারী তিনজন, অফিস সহকারী একজন, অফিস সহায়ক একজন, ভ্যানচালক একজন, নৈশ্য প্রহরী একজন ও থেরাপিস্ট একজন সহ মোট সতের জন শিক্ষক কর্মচারী প্রতিনিয়ত সেচ্ছাশ্রম দিচ্ছে পাঁচটি শ্রেণীর (৫-১৭বছর) বয়সী ১২২জন প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা কর্মকান্ডে।
ছাত্র-ছাত্রীদের আনা নেওয়ার জন্য দশটি ভ্যানের মধ্যে ১টি বাদে বাকী নয়টি ভাড়া করা। ভাড়া বাবদ প্রতিষ্ঠানকে প্রতিমাসে ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়, টিফিন বাবদ মাসে সতের হাজার টাকা সহ মাসে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হয় যা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ শিক্ষক-শিক্ষীকারা অনুদান হিসেবে প্রতিষ্ঠানকে দেয়।
এখানে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি শরীর চর্চাসহ সব ধরনের খেলায় পারদর্শী করে গড়ে তোলার চেষ্ঠা চালিয়ে কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, জমিদাতা, শিক্ষক-শিক্ষীকাদের উর্ধ্বতন মহলের কর্তাব্যক্তিদের প্রতি আবেদন অবহেলিত প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে সুনজর দেওয়ার জন্য।