ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

পাট নিয়ে মহাবিপাকে ঝিনাইদহের চাষীরা

রামিম হাসান, ঝিনাইদহ চোখ-
ঋতু পরিক্রমায় বর্ষাকাল চলছে। কিন্তু বর্ষার রূপ আকাশে ঘন কালো মেঘ, ঝমঝম বৃষ্টি, কিন্তু এবার আর সেটা দেখা যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত খাল বিলে পানি আসেনি, ভরেনি নদ-নদী। এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাট। দামও ভালো। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পশ্চিমের জেলাগুলোর পাটচাষী।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্র জানায়, এবার যশোরে ১৫ হাজার ৪০০ হেক্টর, ঝিনাইদহে ২২ হাজার ৫২০, মাগুরায় ৩৫ হাজার ৪৯৫, কুষ্টিয়ায় ৩৭ হাজার ৭৮৬, চুয়াডাঙ্গায় ১৬ হাজার ৫৭৮ হেক্টর ও মেহেরপুরে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার চাষের শুরুতে চাষিদের বৈরি আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে পাট বীজ বুনতে হয়েছে। খরার সময়ে মাঝেমধ্যে সেচ দিতে হয়। এতে খরচ বেড়ে যায়। বর্তমানে পাট কাটা শুরু হয়েছে। খালবিলে পানি না জমায় দূরে নিয়ে জাগ দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে।

এদিকে মাগুরা, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার কিছু কিছু এলাকায় নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। মাগুরার শ্রীপুর উপজলার লাঙ্গলবাঁধ ও ঝিনাইদহের শৈলকুপা হাটে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। প্রতি মণ বাছ পাট আড়াই হাজার টাকা ও ভালো পাট তিন হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঝিনাইদহের সোনদাহ গ্রামের চাষী উজির বিশ্বাস জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে চাষ করা পাটের ভালো ফলন হয়েছে। শনিবার শৈলকুপা হাটে প্রথম এক ভ্যান নতুন পাট নিয়ে আসেন। প্রতি মণ দুই হাজার ৮৭০ টাকা দরে বিক্রি করেন।

গোবিন্দপুর গ্রামের চাষী শাহাদাত হোসেন বলেন, পাট ভালো হলেও পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না। কেটে জমিতে রেখে দিয়েছেন।

একই কথা জানান মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের চাষী মো.মিজানুর রহমান।

শৈলকুপার পাট ব্যবসায়ী নিরঞ্জন শিকদার বলেন, শনিবার হাটে প্রায় ১০০ মণ পাট ওঠে। প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে আড়াই হাজার থেকে দুই হাজার ৯০০ টাকা দরে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে এবার পাট ভালো হয়েছে। তবে পানির অভাবে পাট জাগে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে সমস্যা কেটে যাবে বলে জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button