ঝিনাইদহের যেখানে নারীদের জয়-জয়কার
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৩০০ নারীর আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে কেবল হাতের কাজ করে। এদের স্কুল-কলেজ পড়–য়া মেয়েরাও পড়ার ফাঁকে ব্যাগ তৈরি, জামা কাপড়ের ফুল তোলাসহ সেলোয়ারের কাজের মাধ্যমে করছে বাড়তি আয়। হাতের কাজ করে ভাগ্য বদলানো এসব নারীদের বেশির ভাগই আদিবাসী।
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু-উপজেলার পাশেই চিথুলিয়া পাড়া। এখানে বেশিরভাগ আদিবাসীদের বসবাস। এই এলাকার প্রায় ৩০০ নারী এখন ব্যস্ত হাতের কাজ নিয়ে। হাত ব্যাগ, মোবাইল ব্যাগসহ বিভিন্ন ব্যাগ তৈরিতে সময় যায় তাদের। স্যালোয়ার কামিজ, ওড়না, রুমাল ও কাপড়ে তুলছে বিভিন্ন ফুলের ডিজাইন। পাশপাশি করছে বিভিন্ন বড় ব্রান্ডের কাজও।
সংসারের অভাব ঘোচানোর পাশাপাশি দিন দিন স্বাবলম্বী হচ্ছেন এসব নারীরা। এতে সংসারে অভাব ঘুচে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।
সপ্তাহে সেলাইয়ের কাজ করে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা করে আয় করছে এসব নারীরা। ঈদকে সামনে রেখে তাদের কাজের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি এসব পণ্য কুষ্টিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হচ্ছে। আর এসব নারীদের পাশে এসে দাড়িয়েছে শিরীন আক্তার নামের একজন স্থানীয় উদ্যোক্তা। তবে এসব কাজে সেলাই মেশিন ও অর্থনৈতিক সহায়তার প্রয়োজন বলে মনে করছেন এ নারী উদ্যোক্তা।
এদিকে, নানা উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে হরিণাকুন্ডু উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। তাদের কাছ থেকে একাধিক প্রশিক্ষণের পরও ঋণ সহায়তা চেয়ে পাননি এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
এ শিল্পে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা দিলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে নারীরা।