ঝিনাইদহে কালীবাড়ীর কমিটি গঠন নিয়ে হামলা, মামলা
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে সার্ব্বজনীন কালীবাড়ীর কমিটি গঠন সভা চলাকালীন সময়ে একপক্ষের হামলায় সাবেক সভাপতি সহ ৭/৮ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর জখম এ্যাডহক কমিটির প্রধান ও সাবেক সভাপতি কার্ত্তিক মন্ডলের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় কালীগঞ্জ শহরে সার্ব্বজনীন কালীবাড়ী অফিসে নতুন কমিটি গঠনের সভায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই এ্যাডহক কমিটির সদস্য নিমাই বিশ^াস বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
মামলার বাদী ও সার্ব্বজনিন কালীবাড়ীর সদস্য দিনোবন্ধু জানায়, নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে কালীবাড়িতে এক সভা চলছিল। এ সময়ে কমিটির পদ পূরন নিয়ে বিরোধে দু’পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডতা শুরু হয়। এক পর্ষায়ে কমিটির সদস্য ও পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রশান্ত খা, সুনীল ঘোষ, মহেন্দ্র মাষ্টার ও হিন্দু বৌদ্ধ পরিষদের উজ্জল অধিকারী পক্ষের সদস্যরা অপর পক্ষীয়দের উপর হামলা চালায়। এ সময় এ্যাডহক কমিটির প্রধান সাবেক সভাপতি কার্ত্তিক মন্ডলকে লাথি কিল ঘুসি মেরে রক্তাত্ত জখম এবং রুপক ঠাকুর, নিমাই বিশ^াস, উজ্জল রায় ও রাম চৌধুরী সহ ৭/৮ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এর পরপরই হামলাকারীরা শহরে এক মিছিল বের করে। হামলায় গুরুতর জখম কার্ত্তিক মন্ডলকে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতাল ও অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে যশোর সদরে রেফার্ড করা হয়েছে। তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
উল্লেখ্য গত মাসে কালীবাড়ীর কমিটি গঠনের এক সভাতেও পদ পদবী নিয়ে বিরোধে সভা পন্ড হয়েছিল। সেই থেকেই দু’গ্রুপের মধ্যে বিরোধ বেড়ে আরো চরমে পৌছেছিল। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় হামলাকালীদের বিচার ও গ্রেফতারের দাবীতে রাতেই নিমাই বিশ^াস বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ কালীগঞ্জ থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইউনুচ আলী হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছেন। দু’পক্ষেই মিমাংশায় সমঝোতা চালাচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শেষে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান।