অন্যান্য

জানেন, সরিষার তেল যে ভালো অ্যান্টিবায়োটিক?

ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক :

সরিষার তেল ছাড়া তো বাঙালির রান্নাই হয় না৷ তবে বাঙালি রাঁধুনিদের প্রিয় সরিষার তেল যে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে, তা কি জানেন? হ্যাঁ, সেকথাই জানা গেছে জার্মানির এক গবেষণায়৷

বিকল্প অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজে
রোগীদের ডাক্তারের দেওয়া অনেক অ্যান্টিবায়োটিকই আজকাল আর বিভিন্ন রোগের জীবাণু ধ্বংস করতে পারছে না৷ প্রতিনিয়ত ডাক্তার এবং গবেষকরা অ্যান্টিবৈায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ভেষজ ওষুধের সন্ধান করছেন৷ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় শ্বাসনালী এবং মূত্রনালী ও ব্রঙ্কাইটিস ইনফেকশন সারাতে সরিষার তেল বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে জানান, জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো ইউরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসার রুট কির্শনার হেরমান্স৷

ভেষজ অ্যান্টিবায়োটিক
সেই প্রাচীনকাল থেকেই সরিষার তেল বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে৷ সরিষার তেল বা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং তা সহজেই হজম হয়৷

নানা গুণ
প্রাকৃতিক এই উপাদানের গুণের কথা বিভিন্ন সমীক্ষা থেকেও জানা গেছে৷ জার্মানির হাইডেলবার্গ এবং মারবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও সরিষার তেলের এই গুণ, অর্থাৎ রোগের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতার বিষয়ে একমত হয়েছেন৷

আরো যা করে
সরিষার তেলের উপাদান শরীর ক্ষুদ্রান্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং ফুসফুস ও বৃহদান্ত্রের প্রয়োজনীয় জীবাণুকে কোনোরকম ক্ষতি না করেই কিডনির মাধ্যমে তা নিষ্কাশিত হয়৷ কারণ এই তেল বৃহদান্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হজমে সহায়তা করে থাকে৷

মুলা ও মুলাজাতীয় সবজি
সরিষার তেলে যেসব উপাদান রয়েছে, সেসব নাকি মুলা ও মুলাজাতীয় সবজিতেও রয়েছে৷ কাজেই মুলা খেলেও কিছুটা অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ হবে বলে জানান প্রফেসার রুট কির্শনার হেরমান্স৷

সুস্থ হতে একটু বেশি সময় লাগে
সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের এক গবেষণায় জানা গেছে, এক বছরের কম বয়সি শিশুরা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে তা থেকে শরীর আবার ঠিক হতে বছরখানেক সময় লেগে যায়৷ যে কারণে পরবর্তীতে সেই শিশুর অতিরিক্ত ওজন ও অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তবে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বা সরিষার তেল শিশুদের জন্য খুবই উপযোগী৷ এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার যে, কেমিক্যালমিশ্রিত অ্যান্টিবায়োটিকের পরিবর্তে সরিষার তেলে সুস্থ হতে সময় একটু বেশি লাগে৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button