প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে ঝিনাইদহের আব্দুল ওহাব’র আপিল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে আপিল শুনানি। গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তারা দুই হাজার ২৭৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা আজ (৩ ডিসেম্বর, সোমবার) থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করতে পারছেন। ইসি তাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।
বাতিল হওয়া মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আপিল গ্রহণ শুরু হয় সোমবার সকাল থেকে। প্রথম দিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ২২ জন আপিল করেন।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে ঝিনাইদাহ-১ থেকে আব্দুল ওহাব আপিল করেছেন ।
এক শতাংশ ভোটার না থাকায় চারজন, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নের জন্য তিনজন, লাভজনক পদে থাকার জন্য সাতজন, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় একজন, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় একজন, ঋণ খেলাপির অভিযোগে দুজন, দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন এবং অন্যান্য কারণে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘যেসব মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, সেসব প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিলের নিষ্পত্তি করবে কমিশন।’
আপিলের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আসতে হবে।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ২ হাজার ২৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ছয় জেলায় দাখিল হওয়া ৪৭৭টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১১৬টিই বাতিল হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়াসহ সারাদেশে বিএনপির অন্তত ৮১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও রয়েছেন। মামলায় সাজা, ঋণখেলাপি, মনোনয়নপত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য না দেয়াসহ আরও কিছু অসংগতির কারণে এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।