ঝিনাইদহে সবজির বাজার মধ্যস্বত্তভোগীদের দখলে: চাষিরা হতাশ
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখ—–
ঝিনাইদহের হাটবাজার গুলোতে শীতকালীন শাকসবজির বাজার মধ্যস্বত্তভোগিদের দখলে চলে গেছে। চাষিরা শাকসবজির ভাল দামতো দুরের কথা উৎপাদনের খরচই উঠছেনা। ফলে সবজি চাষিদেও মাঝে চরম হতাশ বিরাজ করছে। অন্যদিকে ভোক্তগন প্রায় তিনগুন বেশি দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছে। প্রয়োজনের কারনেই বেশি দাম দিয়ে শাকসবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬টি উপজেলায় চলতি শীত মরসুমে ১০ হাজার ৬’শ ৯৩ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়। আর কৃষকরা লক্ষ্যমাত্র চেয়ে ১২ হেক্টর জমিতে বেশি সবজির আবাদ করেছেন।
অর্থাৎ চলতি মরসুমে ১০ হাজার ৭’শ ৫ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ করেছন কৃষকরা। যেখানে ঝিনাইদহে ১৭’শ ৭৫ হেক্টর, কালীগঞ্জে ১৭’শ ৮০ হেক্টর, কোটচাঁদপুুরে ১’ হাজার ৩০ হেক্টর, মহেশপুরে ২’ হাজার ৮০ হেক্টর ও শৈলকুপা উপজেলায় ২৮’শ ৯০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা সবজির আবাদ করছেন।
চলতি শীত মরসুমে জেলার শৈলকুপায় সবচেয়ে বেশি এবং কোটচাঁদপুুর উপজেলায় কম সবজির আবাদ হয়েছে। আর এপরিমান সবজির ক্ষেত থেকে ১৭.৮৩ বা প্রায় ১৮ মেট্টিক টন সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে।
সদর উপজেলার বাজার গোপালপুরের ফুলকপি চাষি কবির হোসেন জানান, তিনি এবার প্রায় একবিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছিলেন। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এষনও বিক্রি করতে পারেনি জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বাজারে কিনতে গেলে কম দামে তো ভোক্তারা কিনতে পারছেনা।
সরেজমিন, জেলার ডাকবাংলা, হলিধানি, নগরবাথান, সাবদারপুর, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরের কাচাবাজরে শাকসবজির দাম বৃদ্ধিতে বিক্রি হচ্ছে। হাটবাজার গুলোতে ৮ টাকার শিম ৩০ টাকা, ১৫ টাকার মেটে আলু ৪০ টাকা, ২০ টাকার মানকচু ৫০ টাকা, ৩ টাকার ফুলকপি ১৫ টাকা, ১৪ টাকার টমেটো ৩৫ টাকা, ৫ টাকার বরবটি ১০ টাকা, ৬ টাকার কাঁচামরিচ ৩০ টাকা, ৭ টাকার পুইশাকের মেছড়ি ৩০ টাকা, ১৫ টাকার গোল আলু ৩০ টাকা, ৯ টাকার বেগুন ২৫ টাকা, ১০ টাকার মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল সদরের নগরবাথান বাজারে সবজি বিক্রিতে আলতাফ, বাবলু হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, চাষিদের নিকট সবজি কেনার পর পরিবহন খরব, বাজারে বিক্রিও জন্য বসার জায়গায় আলাদা খরচ দিতে হয়। তাছাড়া ২/৫ টাকা লাভ করতে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
ঝিনাইদহ শহরে শাকসবজি কিনতে আসা আনিচুর রহমান জানান, বাজারে এত শাকসবজি তার পরও দাম কম নয়। প্রয়োজন তাই বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে।
ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ বলেন, শীতকালিন সবজির উৎপাদন ভাল হয়েছে। উক্ত অর্থনিতকীতে বাজারের জন্য কৃষি বিভাগ কিছুই করতে পারেনা।