টপ লিডমহেশপুর

ঝিনাইদহ সীমান্তে ঘটছে নীরব বিপ্লব

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী কারখানা ছিল মাত্র ২টি, গত দুবছরের ব্যবধানে কাড়খানার সংখ্যা দাড়িয়েছে ১১টি তে। আর এসব কারখানা, উৎপাদন এবং বাজারজাত করণে জড়িত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ নারী-পুরুষ সরাসরি জড়িত।

এখান কার ৮ শতাধিক পরিবারে জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে এই ইমিটেশন জুয়েলারীতে কাজ করে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় দেশের সীমান্তবর্তী জেলায় বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থণীতির চিত্রও।

দল বেধে বসে একনিষ্ঠ মনোযোগে নানা ছাচে আর ডিজাইনে কেউ কেউ গলাচ্ছে নানা ধাতব পদার্থ, কারো মনোযোগ নকশাতে কারো বা হাতে চলছে গহনার চুড়ান্ত ডিজাইন কেউ বা পুঁথি সাজাচ্ছে। ভাঙ্গা চোরা মাটির বা টিন শেডের ঘরে ঘরে গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে ইমিটেশন গহনা তৈরীর এমন মহাযজ্ঞ চলছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহের মহেশপুরে।

পৌর সভা সহ ৩টি ইউনিয়নে ১১টি কারখানার মাধ্যমে জীবনযাত্রা বদলের এ গল্প শুরু হয়েছে। ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী নতুন স্বপ্ন এখানকার মানুষদের। আর তাদের কারিগরী ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল ইফাদ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়া লেখার ফাঁকে কর্মসংস্থানের এমন সুযোগ হাত ছাড়া করতে নারাজ। প্রতিদিন কাজ শেষেই পাচ্ছেন গদ টাকা, নিজের লেখা পড়ার খরচের পাশাপাশি পরিবারকেও সহযোগিতা করে চলেছে ক্ষুদে কারিগররা।

কারিগর আর ব্যবসায়ীরা জানায় আমুল পরিবর্তন ঘটেছে মহেশপুরের ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী ব্যবসাতে। আগের চেয়ে মান সম্পন্ন আর উন্নত টিকসই ডিজাইনের বড় গহনা তৈরী হচ্ছে এখানে। নওগা, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, সিলেট, লক্ষীপুর, বগুড়া, রাজশাহী, যশোর, ঢাকা সহ কমপক্ষে দেশের ১৫ টি জেলাতে যাচ্ছে এখানকার তৈরী গহনা।

এই কাজ করে আমরা এখন স্বাবলম্বী এটি বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় একটি সাকসেস ফুল প্রোগ্রাম বলে মনে করছে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক-সট- নাছিমা বেগম, নির্বাহী পরিচালক, শিশু নিলয় ফাউন্ডেশন, যশোর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button