ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন ডিসেম্বর এলেই লাল সবুজের ফেরিয়ালা

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহের চোখঃ

বছরের অন্যান্য সময় কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকলেও ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর হোসেন(৪৫)। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায় হলেও তিনি এবার এসেছেন ঝিনাইদহ জেলায় পতাকা বিক্রি করতে।

সাত ফুট লম্বা বাঁশের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ছোট, বড় আকারের পতাকা সাজিয়ে মাইলের পর মাইল হেটে। বিক্রি করছেন বাংলাদেশের লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।

জাহাঙ্গীর হোসেনে বলেন, ছোট বেলা থেকেই ডিসেম্বর মাস এলে তিনি পতাকা বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েন বিভিন্ন জেলায়। ৩০ বছর ধরে পতাকা বিক্রি করছেন।

পতাকা শুধু যে তিনি ব্যাবসার কারনে বিক্রি করছেন তা না। দেশাত্ববোধ ও দেশের প্রতি ভালবাসার কারনেই তিনি শুরু করেন লাল সবুজের পতাকা বিক্রি। বিভিন্ন বয়সের মানুষ আসে পতাকা কিনতে। অনেকে আবার পতাকা না কিনে ফিরেও যায়। আমার কাছ থেকে পতাকা না কিনলেও আমার ভাল লাগে কারন বিবিন্ন শ্রেণী পেষার মানুষ এক কথায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই আসে আমার কাছে।

পতাকা কেমন বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিশ^কাপ ফুটবল খেলা আসলে যে হারে বিভিন্ন দেশের পতাকা বিক্রি হয়। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আসলে সে হারে আমাদের জাতীয় পতাকা বিক্রি হয় না। আর পতাকার দামও তেমন একটা কেউ দিতে চান না এ বিষয়টা আমাকে খুব কষ্ট দেয়।

শুধু পতাকা নয়, মাথায় ও হাতে বাঁধতে লাল-সবুজের ব্যান্ড, বাচ্চাদের জন্য প্লাস্টিকের হাতলসহ পতাকাও বিক্রি করছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। আকার ভেদে একেকটি পতাকা ২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন তিনি। আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ টাকা করে প্রতি পিচ। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয় তার। আর হাজারে লাভ হয় ৩শত টাকা।

তিনি আরো বলেন স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে বেশি আনন্দ পাই। বিজয়ের এ মাসে যদি প্রত্যেকের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিতে পারতাম। তা হলে পতাকা বিক্রিতে আমার স¦ার্থকতা আসত।

তার কাছে পতাকা কিনতে আসা এক ক্রেতা রাজ্জাক মিয়া বলেন, তার ছোট ছেলে-মেয়ের জন্য লাল-সবুজের ব্যান্ড কিনে নিলাম। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগাতে এই ব্যান্ড কেনা। তবে পতাকা নির্দিষ্ট মাপে বানানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button