অন্যান্য

ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজন সঠিক মাপের বালিশ

ঝিনাইদহের চোখঃ সারাদিন কাজের পর রাতের ঘুমটা হওয়া চাই আরামের। ভালো ঘুম কেবল শারীরিক ক্লান্তি দূর করে না; বরং শরীরের সমস্ত কলকব্জাকে ঠিকভাবে কাজ করানোর জন্যও ঘুম অত্যন্ত কার্যকর। আরামদায়ক ঘুমের অনেকটাই নির্ভর করে বালিশের উপর। যদি বালিশটা সঠিক মাপের না হয় তাহলে ঘুমটা ভালো নাও হতে পারে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ মানলে, ঘুমের বালিশটি যেমন খুব নরম হলেও চলে না, তেমন আবার খুব শক্ত হলেও তা স্পাইনাল কর্ডে নানা সমস্যা তৈরি করে। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার বালিশ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাও থাকে। কিন্তু যারা বালিশ ব্যবহার করেন, তাদেরও সঠিক বালিশ সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার।

অস্থি বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু নিয়মের কথা জানিয়েছেন, যা মাথায় রেখে বালিশ বানালে ঘুম তো আরামের হবেই, সঙ্গে স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যাও কমবে অনেকটাই।

জেনে নিন ভালো ঘুমের জন্য সঠিক মাপের বালিশে সম্পর্কে-

উচ্চতা:

বালিশ কেনার সময় দেখে নিন যাতে কাঁধ বা ঘাড় না বেঁকিয়েই অর্থাৎ মোটামুটি সোজা ও সমান্তরাল রেখেই ঘুমিয়ে পড়া যায়। বিশেষ কোনও পাশ ফিরে শোওয়ার সময় কাঁধের সঙ্গে গলার যতটা ফারাক, বালিশের সঙ্গেও কাঁধের যেন ততটাই পাথর্ক্য হয়। অর্থাৎ ঘাড়ের উপরিভাগ ও বালিশের শেষ ভাগ যেন একে অপরকে স্পর্শ করে থাকে। কেনার সময় এই বিষয়টি মাথায় রেখেই কিনুন বালিশ।

উপকরণ:

অনেকেই ফোমের বালিশ কেনেন। কিন্তু শরীরের জন্য তা একেবারে উপকারী নয়। বরং আস্থা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানের উপর। কার্পাস তুলোর বালিশ হলে তা শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী।

আকার:

ঘুমানের বালিশের আকার কেমন হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম না থাকলেও চেষ্টা করুন মাথার মাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বালিশ কিনতে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন। একটু বড় আকারের মাথা হলে সে ক্ষেত্রে কিং বা কুইন সাইজের বালিশ নিন। মাথার আকার ছোট হলে মিডিয়াম বা স্ট্যান্ডার্ড আকারের বালিশ কিনুন।

কভার:

বালিশের উপর একটা কভার ব্যবহার করুন। এতে মাথার তেলের জেরে বালিশ নোংরা হবে না। কভার বাছার সময় বরং বেছে নিন সুতি কাপড়কে। সুতিবস্ত্র ছাড়া অন্য কাপড়ের কভারে গরম লাগতে পারে, তা ত্বকের জন্যও খুব একটা ভাল নয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button