ঝিনাইদহের চোখঃ
একটি সেতুর অভাবে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার নয় গ্রামের মানুষ নদী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে শৈলকূপার উমেদপুর ইউনিয়নের আড়য়াকান্দি গ্রামে কুমারনদীর ঘাটে কথা হয় এলাকার মানুষের সঙ্গে। তারা জানান, পশ্চিমে ছয় কিলোমিটার আর পূর্বে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নদী পারাপারের জন্য কোনো সেতু নেই। ফলে আড়িয়াকান্দি, তামিনগর, উমেদপুর, গোয়াইলবাড়িয়া, রয়েড়া, দামুকদিয়া, বিষ্ণুদিয়া, মনোহরপুর ও মাধবপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে প্রতিদিন নৌকায় বা ৪-৫ কিলোমিটার ঘুরে শৈলকূপা শহরের ব্রিজ দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। এটা আমাদের জন্য সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
তামিনগরের বাসিন্দা ওমর আলী জানান, ছোট্ট একটা ডিঙ্গি নৌকায় তাদের নদী পারাপার হতে হয়। মাঝে মধ্যে নৌকা থেকে যাত্রী পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকায় নদী পারাপারের সময় গোলাম নবী নামে এক ব্যাক্তি জানান তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, নৌকায় মোটরসাইকেলটি তুলতে গিয়ে তিনি মাঝে মধ্যে নদীতে পড়ে যান।
দামুকদিয়া ও বিষ্ণুদিয়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন ধান, পাট, গম বা অন্য কোনো ফসল বহনের সময়। শুধুমাত্র পারাপারের ব্যবস্থার না থাকায় তাদের বাড়তি টাকা গুনতে হয়। সময় নষ্ট হয়। জানমালের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সব জায়গায় জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার মোশাররফ হোসেন জানান, রয়েড়াবাজার বা আড়িয়াকান্দিতে কুমার নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য চিন্তাভাবনা চলছে। উপজেলা পরিষদের পরবর্তী উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।