টপ লিডনির্বাচন ও রাজনীতিহরিনাকুন্ডু

ঝিনাইদহ-২ এ বিএনপি প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল

ঝিনাইদহের চোখঃ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আপিল করেও প্রার্থীতা ফিরে পেলেন না বিএনপি দলীয় ৭ প্রার্থীসহ মোট ৮ জন।

বিএনপি মনোনয়ন পেলেও আদালতে প্রার্থিতা হারানো এসব প্রার্থিরা হলেন- জামালপুর-৪ আসনের ফরিদুল কবির তালুকদার, জয়পুরহাট-১ আসনের মো. ফজলুর রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনের এম এ আব্দুল মজিদ, রাজশাহী-৬ আসনের আবু সাঈদ চাঁদ, ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৪ আসনের ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন, ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক এবং ঢাকা-২০ আসনের তমিজ উদ্দিন।

একইসঙ্গে তমিজ উদ্দিনের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। এছাড়াও ময়মনসিংহ-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ হাসান সুমনের মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে প্রার্থিদের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার চেম্বার বিচারপতি নুরুজ্জামান ননীর আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে আবেদনকারীরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপর তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে প্রার্থিতা ফিরে পান।

পরে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন প্রার্থীর প্রার্থিতা হাইকোর্টে আটকে যায়। এসব প্রার্থীদের সকলেই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থেকে নির্বাচন করায় হাইকোর্ট তাদের প্রার্থিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ ডিসেম্বর এসব প্রার্থিরা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে পৃথক পৃথক আবেদন জানান। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত তাদের প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এর ফলে তাদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button