ধর্ম ও জীবন

নামাজের স্থানের সীমারেখা কতটুকু?

ঝিনাইদহের চোখঃ নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলাম বিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানটির জুমাবারের বিশেষ ৫৫৭তম পর্বে দর্শক-শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। এই পর্বে চাঁদপুর থেকে বাবুল নামে একজন দর্শক টেলিফোনে নামাজের স্থানের সীমারেখা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন: নামাজের স্থানের সীমারেখা কতটুকু?

উত্তর: নামাজের সামনে দিয়ে হাঁটতে রাসুল (সা.) কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। সমস্ত ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হচ্ছে, মুসল্লির সামনে দিয়ে যাওয়া হারাম। কিন্তু এখানে সীমারেখা আছে।

রাসুল (সা.) যে হাদিসে নিষেধ করেছেন, সেই হাদিসেই বলেছেন, ‘যদি অতিক্রমকারী ব্যক্তি ‘বাইনা ইয়া দাইলের’ ভেতরে চলে আসে, তাহলে মুসল্লি ওই ব্যক্তিকে বাধা দেবে। ‘বাইনা ইয়া দাইল’ হচ্ছে, মুসল্লি ব্যক্তির সিজদাহ, অর্থাৎ দণ্ডায়মান অবস্থা থেকে সিজদাহ পর্যন্ত জায়গা। এই জায়গাটুকু হচ্ছে মুসল্লির হক বা অধিকার। এই সীমার মধ্য দিয়ে কেউ হেঁটে যেতে পারবে না, মুসল্লি বাধা দিতে পারবে, এটি জায়েজ।

আবার মুসল্লিও যদি পুরা মসজিদ তার দখলে নিয়ে যায় বাকিরা দাঁড়িয়ে থাকে, এটিও তার হকের বাইরে।

সুতরাং সিজদাহের জায়গার মধ্যে যদি কেউ অতিক্রম করে, সে ক্ষেত্রে মুসল্লি তাকে বাধা দিতে পারবেন। এই সীমার মধ্য দিয়ে যিনি অতিক্রম করবেন, তিনি গুনাহগার হবেন। কিন্তু মুসল্লিও যদি তাঁর সীমা অতিক্রম করেন, তাহলে গুনাহগার হবেন। একদল ওলামায়ে কেরাম এই মুসল্লির নামাজ হবে কি না, সেটি নিয়েও প্রশ্ন করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button