ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ভাঙা ব্রিজ পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ
শাহানুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
অর্থ নেই, তাই হচ্ছে না পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার। ফলে দিনের পর দিন ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে হরিণাকুন্ডু উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি ব্রিজ এমনটিই জানিয়েছেন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী মহসিনউদ্দিন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। উপজেলার বেলতলা-শড়াতলা ব্রিজ এটি।
জানা গেছে, হরিণাকুন্ডু উপজেলার জি.কে সেচ প্রকল্পের আর-২ গেট থেকে দুই কি.মি. দূরে বেলতলা এলাকায় সেচ ক্যানেলের উপর ১৯৬২ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। এ ব্রিজের উপর দিয়ে বেলতলা, শড়াতলাসহ আট গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের চলাচল। কিন্তু দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্রিজটি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এতে মানুষের যাতায়াতে যেমন সমস্যা হচ্ছে তেমনি পরিবহণ করা যাচ্ছে না কোনো মালামাল। ফলে কয়েক কি.মি. ঘুরে উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে তাদের। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার ফলসী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, এ ব্রিজ দিয়ে সংযুক্ত ফলসী ও জোড়াদাহ ইউনিয়ন পরিষদ। দুই ইউনিয়নের মানুষ এর উপর দিয়ে চলাচল করে। মানুষের মাঠে-ঘাটে যাওয়ার জন্যও ব্রিজটি ব্যবহূত হয়। আর দীর্ঘদিন ভেঙে থাকায় দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাই সরকারের কাছে দাবি মানুষের কষ্ট লাঘবে যেনো দ্রুত ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ করা হয়।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বার বার ব্রিজটি নিয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা ও জেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জনগুরুত্ব্পূর্ণ এ ব্রিজটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা করছেন না। তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
হরিণাকুন্ডু এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি পরিদর্শন করেছি এবং উপজেলা সমন্বয় সভায়ও উত্থাপন করা হয়েছে। যেহেতু ব্রিজের মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেহেতু তারা না বললে পুনর্নির্মাণ করতে পারবো না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী মহসিনউদ্দিন জানান, ১৯৬২ সালের দিকে ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছিল। কিন্তু এখন ভেঙে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে সংস্কার করলে তা কাজে আসবে না। এটি পুনরায় নির্মাণ করতে হবে।
তিনি জানান, মালিকানা আমাদের হলেও ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তার কিছুই নেই। অর্থ বরাদ্দ না পেলে কোনো কাজই করা যাবে না। তবে কবে নাগাদ অর্থ বরাদ্দ আসতে পারে বা পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।