তাজনুর রহমান ডাবলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় প্রচণ্ড শীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের পাতলা পায়খানা ও বমি হয়। এ অবস্থায় শিশুদের অধিকতর গরম স্থানে রাখলে এ রোগ থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়। তবে এ ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের খাবার স্যালাইন ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
গত বুধবার শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্স ঘুরে দেখা যায়, শীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছে কয়েকটি শিশু।
বিজুলিয়া গ্রামের ইতি খাতুন জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডায় তার শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তিনি সন্তানকে নিয়ে মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে রয়েছেন। আরও কয়েকদিন থাকতে হবে বলে তাকে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
হাজেরা খাতুন বলেন, গত সোমবার থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার শিশুকে স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মতো অনেক অভিভাবক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে আছেন বলে জানান।
নার্স জাহানারা খাতুন জানান, গত এক সপ্তাহে অর্ধশতাধিক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ছাড়া এখনও অনেক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। বহির্বিভাগেও একই অবস্থা। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে বলে জানান হাসপাতালের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কেএম আশরাফুজ্জামান। এর বাইরে বেসরকারি হাসপাতাল ও পলল্গী চিকিসকদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেক শিশু।
শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খন্দকার বাবর বলেন, কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতে অনেক শিশু রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। শুধু খাবার স্যালাইন খাওয়ালেই শিশুরা সুস্থ হয়ে ওঠে।
মাগুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অলোক কুমার সাহা বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডায় দেশ-বিদেশে অনেক শিশু রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। ভাইরাসজনিত শিশুদের এ রোগ চার দিনের বেশি থাকে না। শিশুদের এ রোগে হলে কোনোভাবেই শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন তিনি।